Advertisement
E-Paper

পর্যটক টানতে ঝুলন্ত সেতু হচ্ছে চিল্কিগড়ে

ডুলুং নদীর উপর একটি পুরনো কজওয়ে রয়েছে। নদীতে জল বাড়লে অথবা ভারী বৃষ্টি হলে কজওয়ে ছাপিয়ে প্রবল স্রোত বইতে থাকে। তাতে কজওয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে গেলে জামবনি ব্লকের দু’প্রান্তের ৮৬টি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৬:২০
প্রস্তুতি: কোথায় হবে সেতু। ডুলুং নদীর ধারে তারই সমীক্ষা। নিজস্ব চিত্র

প্রস্তুতি: কোথায় হবে সেতু। ডুলুং নদীর ধারে তারই সমীক্ষা। নিজস্ব চিত্র

পর্যটক টানতে লছমনঝুলার আদলে ঝুলন্ত সেতু তৈরি হবে চিল্কিগড়ে।

ডুলুং নদীর উপর ওই সেতু তৈরি হলে চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দির থেকে পর্যটকরা হাঁটাপথে নদীর অপর পাড়ে গিয়ে সবুজ উদ্যান দেখতে পারবেন। চিল্কিগড়ের বাসিন্দারাও সহজেই মন্দিরে যাতায়াত করতে পারবেন। এ ছাড়াও ডুলুং নদীর উপর আরও একটি কংক্রিটের সেতু তৈরির পরিকল্পনা করেছে জামবনি ব্লক প্রশাসন। প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থাকে দিয়ে মাটি পরীক্ষার কাজও শেষ। কংক্রিটের সেতুটি হলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান হবে বলে প্রশাসনের দাবি।

ডুলুং নদীর উপর একটি পুরনো কজওয়ে রয়েছে। নদীতে জল বাড়লে অথবা ভারী বৃষ্টি হলে কজওয়ে ছাপিয়ে প্রবল স্রোত বইতে থাকে। তাতে কজওয়ে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে গেলে জামবনি ব্লকের দু’প্রান্তের ৮৬টি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ব্লক সদর গিধনির সঙ্গে জামবনি থানার যোগাযোগের সহজ রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে লক্ষাধিক বাসিন্দা দুর্ভোগে পড়েন। গত কয়েক বছরে নদীর হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, কনকদুর্গার মন্দির ডুলুং নদীর এক পাড়ে। অপর পাড়ে চিল্কিগড় গ্রাম। সেখানেই রয়েছে প্রাচীন চিল্কিগড় রাজপ্রাসাদ। নদীর জল বাড়লে গ্রামবাসীরা মন্দিরে যেতে পারেন না। ঝাড়গ্রামের দিক আসা পর্যটকদের কেবল কনকদুর্গার মন্দির, ডুলুং নদী ও জঙ্গল দেখে ফিরে যেতে হয়। কজওয়ে ছাপিয়ে জল বইলে পর্যটকরা রাজবাড়ির দিকেও যেতে পারেন না। এই সব কারণে ডুলুংয়ের উপর কংক্রিটের উঁচু সেতু তৈরির দাবি ওঠে।

জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল বলেন, “কংক্রিটের সেতুর পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য একটি ঝুলন্ত সেতু তৈরিরও পরিকল্পনা হয়েছে। কলকাতার এক প্রযুক্তি সংস্থাকে দিয়ে নদীর দু’প্রান্তে ৬টি জায়গার মাটি পরীক্ষা করানো হয়েছে।” তিনি জানান, মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট-সহ দু’টি সেতুর বরাদ্দ চেয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।”

জামবনির বিডিও মহম্মদ আলিম আনসারি বলেন, “হৃষিকেষের লছমনঝুলার মতো এখানে আমরা ছোট ঝুলন্ত সেতু তৈরি করতে চাইছি। মূল কংক্রিটের সেতুতে যানবাহন চলবে। ঝুলন্ত সেতু দিয়ে কেবল পর্যটক ও এলাকাবাসী হেঁটে যাতায়াত করবেন।” ঝাড়গ্রাম জেলা সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি বলেন, “সেতু দু’টির বরাদ্দ মঞ্জুরের জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।”

প্রস্তুতি: কোথায় হবে সেতু। ডুলুং নদীর ধারে তারই সমীক্ষা। নিজস্ব চিত্র

Dulung River Pontoon bridge Chilkigarh চিল্কিগড়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy