Advertisement
E-Paper

মেডিক্যালের পাঁচিল ভাঙা, বাড়ছে দুষ্কর্ম

বহিরাগতের আনাগোনা লেগেই রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল চত্বরে। তাদের অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ঘোরাফেরা করছে। তাই টাকা ছিনতাই থেকে চুরি, নানা দুষ্কর্ম ঘটছে এই হাসপাতালে।

সুমন ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৬ ০১:৩৯

বহিরাগতের আনাগোনা লেগেই রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল চত্বরে। তাদের অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই ঘোরাফেরা করছে। তাই টাকা ছিনতাই থেকে চুরি, নানা দুষ্কর্ম ঘটছে এই হাসপাতালে।

সম্প্রতি হাসপাতালের গুদাম থেকে চুরি গিয়েছে গজ, ব্যান্ডেজ, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জের মতো নানা সরঞ্জাম। আগে হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি ছিল না। তবে দুষ্কর্ম রুখতে কয়েক বছর হল ফাঁড়ি হয়েছে। সেখানে পুলিশকর্মীরা থাকেন। তবু দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ বন্ধ করা যায়নি কেন? হাসপাতালের সুপার যুগল করের জবাব, “সব সমস্যা পুলিশকে জানিয়েছি। চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সক্রিয় হলে আশা করি সমস্যা মিটবে।” কোতোয়ালি থানা জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, গজ, ব্যান্ডেজ, সিরিঞ্জ চুরি সাধারণ চোরেদের কাজ নয়। ফলে, এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সন্ধের পর পুলিশি টহল বাড়ানোর আশ্বাসও দিচ্ছে পুলিশ।

বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী আছেন ৫৫ জন। তার মধ্যে ৩ জন সুপারভাইজার। বাকি ৫২ জন নিরাপত্তারর দায়িত্বে। তার উপর হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি। তবু দুষ্কৃতী কার্যকলাপ বন্ধ করা যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের সব গেটই প্রায় অরক্ষিত থাকে। হাসপাতাল সুপারের অফিস থেকে বাঁ দিকে যে রাস্তা রয়েছে সেখানে ঝোপজঙ্গলও রয়েছে। সে দিক দিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলের দিকে মূল রাস্তায় চলে যাওয়া যায়। ওখানে প্রায় দু’ফুট অংশে পাঁচিল নেই। দুষ্কৃতীরা ওই পথেই যাতায়াত করে বলে অভিযোগ।

ওই দিকেই রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মিনিট্রাক ও ট্রাক ড্রাইভার হেল্পার শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ও স্ট্যান্ড। সংগঠনের সম্পাদক রমেন বারিক বলেন, ‘‘রোগীর আত্মীয়ের হাত থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের চুরি হয় হাসপাতালে। অনেকে ছুটে এসে আমাদের সাহায্য চান। অবিলম্বে পাঁচিলের ভাঙা অংশ বন্ধ উচিত। পুলিশি টহলও বাড়ানো দরকার।’’ স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মফুজেরও বক্তব্য, “পাঁচিল না থাকায় ওই অংশ দিয়েই দুষ্কৃতীরা যাতায়াত করে। হাসপাতাল চত্বরের ঝোপজঙ্গলেও অসামাজিক কাজ হয়।”

কেন ওইটুকু অংশে পাঁচিল দেওয়া যায়নি? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সদুত্তর মেলেনি। প্রশাসনও নীরব দর্শক। যা পরিস্থিতি তাতে দুষ্কর্মে দাঁড়ি পড়ার আশা দেখছেন না ভুক্তভোগীরা।

Hospital crime miscreants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy