মহিযাদলের রবীন্দ্র পাঠঘরে রাজ্য যোগ প্রতিযোগিতায় খুদেরা। আরিফ ইকবাল খানের তোলা ছবি।
পূর্ব ও পশ্চিম দুই জেলাতেই পালিত হল আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে শুরু করে মহিষাদল, হলদিয়া, কাঁথি, এগরা সর্বত্রই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল নানা অনুষ্ঠানের।
এনসিসি-র উদ্যোগে জেলার চারটি জায়গায় যোগ দিবসের অনুষ্ঠান হয়েছে। তা ছাড়াও একটি যোগ সমিতি উদ্যোগে জেলাজুড়ে ২৩টি জায়গায় যোগ দিবস পালিত হয়েছে। সমিতির জেলা সভাপতি গৌতম বসু জানান তমলুক মহকুমায় ৯টি, হলদিয়া মহকুমায় ৫টি, এগরায় মহকুমায় ৬টি ও কাথি মহকুমা ৩টি জায়গায় আলোচনা সভার পাশাপাশি যোগাসনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দিনভর মহিষাদলের রবীন্দ্র পাঠাগারে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন সমিতির উদ্যোগে হয়েছে যোগাসন প্রতিযোগিতা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক রঘুনাথ পণ্ডা জানান রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৬০০ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন। এ দিন সন্ধ্যায় পুরস্কারও দেওয়া হয়।
রবিবার সকালে মহিষাদলের রাজবাড়ি চত্বরে এনসিসি ৫৫ বেঙ্গল ব্যাটেলিয়নের উদ্যোগে প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী যোগ দেয়। মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দোপাধ্যায়, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী, মহিষাদল রাজ কলেজের অধ্যক্ষ অসীমকুমার বেরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তমলুক কলেজেও এনসিসি পালন করেছে দিনটি। প্রায় ১৪০০ পড়ুয়াকে সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ৫৫বেঙ্গল ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বলরাজ সর্দানা।
অন্যদিকে কাঁথি হাইস্কুল ও খেজুরি কলেজেও পালিত হয় যোগ দিবস। ভগবানপুর বাজারের রামমন্দির চত্বরে এক্তারপুর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও স্বামীজি যোগাসন সমিতির উদ্যোগে এ দিন দুপুর পর্যন্ত প্রায় দুশো বাসিন্দাকে যোগাসন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এগরা, পটাশপুর, ভবানীচক, মঙ্গলামাড়ো, পাচরোল ও পটাশপুরের খাড় হাইস্কুলে যোগ দিবস পালিত হয়েছে। যোগ দেন পটাশপুর ২ বিডিও শুভজিৎ কুণ্ডু। শালগেছিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তমলুক শহরের সুবর্ণ জয়ন্তী প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয় একটি অনুষ্ঠানের।
এ দিকে বিশ্ব যোগ দিবস উপলক্ষে রবিবার খড়্গপুর আইআইটি-তে যোগ দেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এ ছাড়াও শহরের আরও দু’টি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী। এ দিন হর্ষবর্ধন দাবি করেন, ‘‘বাংলারই সন্তান ঋষি অরবিন্দ যোগকে তুলে ধরেছিলেন। ভারতের ঘরে ঘরে যদি কেউ যোগ পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে থাকেন তাঁর নাম, বাবা রামদেব। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই যোগকে বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিলেন।’’ আইআইটি-র ‘যোগ কর্মাসু কৌশলম’ লেখা প্রতীককে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে নিয়মিত যোগচর্চা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার শুরু করছে প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা। আইআইটির পডুয়াদের কথায়, যোগকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে আইআইটি-র পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy