Advertisement
২০ মার্চ ২০২৩

রূপনারায়ণের ভাঙন রোধে কাজ শুরু, বরাদ্দ কয়েক কোটি

জেলা সেচ দফতর সূত্রের খবর, তমলুকের আবাসবাড়ি থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশে বছর ছয়েক আগে ভাঙনের কবলে পড়েছিল।

চলছে পাড় বাঁধানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র

চলছে পাড় বাঁধানোর কাজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২৩:৩৪
Share: Save:

শহর সংলগ্ন রূপনারায়ণ নদের পাড় ভাঙন রোধে কাজ শুরু করল সেচ দফতর। সংশ্লিষ্ট দফতর, তমলুকের স্টিমার ঘাট থেকে ময়লা বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকার ১.১৩ কিলোমিটার অংশে পাড় বাধানোর কাজে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

Advertisement

জেলা সেচ দফতর সূত্রের খবর, তমলুকের আবাসবাড়ি থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশে বছর ছয়েক আগে ভাঙনের কবলে পড়েছিল। ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল এলাকার বাড়ি এবং কয়েকশো একর চাষ জমির। এলাকার বাসিন্দারা সরে গিয়ে বাইপাসের ধারে অস্থায়ীভাবে বাড়ি তৈরি করেছেন। ভাঙন রোধে ওই সময় আবাসবাড়ি থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত বোল্ডার ফেলে পাড় বাঁধানোর ব্যবস্থা করেছিল সেচ দফতর।

কিন্তু জলের স্রোতে বছরখানেক আগে স্টিমার থেকে ময়লা বাড়ি (পুরসভার জঞ্জাল ফেলার জায়গা) পর্যন্ত বোল্ডার বাঁধানো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর মধ্যে ফের আতঙ্ক দেখা দেয়। তখন তমলুক পুরসভা কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় ভাঙন রোধের জন্য জেলা সেচ দফতরের কাছে আর্জি জানায়। এর পরেই সেচ দফতর অর্থ বরাদ্দ করে ওই এলাকায় ভাঙন রোধের জন্য পদক্ষেপ করেছে। স্রোতের ধাক্কা থেকে পাড়কে রক্ষা করতে ‘কংক্রিট স্ল্যাব’ দিয়ে রূপনারায়ণ তীর বাঁধানো হচ্ছে।

সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তমলুক শহর সংলগ্ন রূপনারায়ণ তীরের বেশ কিছুটা এলাকায় ফের ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই এলাকায় ভাঙন রোধে নতুন করে কাজ করা হচ্ছে।’’ সেচ দফতর সূত্রের খবর, রূপনারায়ণের ভাঙন রোধে এর আগে দনিপুরের কাছে ‘কংক্রিট স্ল্যাব’ দিয়ে তীর বাঁধানোর কাজ করা হলেও তমলুক শহরের কাছে এভাবে তীর বাঁধানোর কাজ প্রথম। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হবে।

Advertisement

এ ব্যাপারে তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘শহরের আবাসবাড়ি থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত এলাকায় কয়েক বছর আগে রূপনারায়ণ নদের ভাঙন রোধের কাজ করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু ফের কিছু ওই এলাকার কিছু অংশে পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ জন্য জেলা সেচ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেচ দফতর সেই মতো পদক্ষেপ করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.