—প্রতীকী চিত্র।
দিঘা ঘুরে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল পর্যটকদের গাড়ি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একটি মোটরবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় ওই মোটরবাইকের আরোহী ৩ যুবকের পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির যাত্রী ১৭ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
দু'মাসের ব্যবধানে একই থানা এলাকায় পরপর দু’টি বড় দুর্ঘটনা ঘটল। ফলে 'সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ' কর্মসূচি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ১১৬ বি জাতীয় সড়কের যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ হয় না বলেও উঠছে অভিযোগ। কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলছেন, ‘‘গাড়ি চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। জাতীয় সড়কের দুর্ঘটনা রুখতে এ বার থেকে পুলিশ আরও বেশি নজরদারি চালাবে।’’
বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে নাগাদ কাঁথি-৩ ব্লকের খড়িপুকুরিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ি চেপে ৪ জন দিঘা থেকে ফিরছিলেন। তাঁরা নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা। ১১৬ বি জাতীয় সড়কে খড়িপুকুরিয়ার কাছে একটি মোটরবাইকের চেপে স্থানীয় তিন যুবক যাচ্ছিলেন। জাতীয় সড়কে ওঠার মুখে পেছনদিক থেকে আসা পর্যটকদের গাড়ি ওই বাইকে ধাক্কা মারে। তারপরেই গাড়িটি উল্টো যায়। মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিন জন। গুরুতর জখম অবস্থায় মোট আট জনকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চার জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
গাড়ির যে যাত্রী মারা গিয়েছেন তাঁর নাম কোয়েল সিংহ (১৯)। মৃত ৩ স্থানীয় যুবকেরা হলেন যথাক্রমে বিশ্বজিৎ মণ্ডল, অতনু মণ্ডল ও শুভঙ্কর জানা। এঁরা প্রত্যেকেই কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ঘোড়াঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আহত এক পর্যটকের অবস্থা সঙ্কটজনক। তিনি তমলুক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তবে পর্যটকদের গাড়ির চালক ও গাড়িতে থাকা দু’টি শিশু সুস্থ রয়েছে।উল্লেখ্য, গত ১৬ মে মারিশদার দইসাই র কাছে পর্যটকদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেবারেও মৃত ৪ জন ছিলেন নদিয়ার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতের দুর্ঘটনায় নদিয়ার বাদকুল্লা ১ পঞ্চায়েতের বাজার কলোনির সিংহবাড়ির ছোট মেয়ে কোয়েল সিংহ (১৯) মারা গিয়েছেন। তিনি রানাঘাট কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা নবকুমার সিংহ মারা গিয়েছেন বছর চারেক আগে। কোয়েল তাঁর মেজদি-র পরিবারের সঙ্গে দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পরিবার-পরিজনেরা শোকস্তব্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy