Advertisement
E-Paper

ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমি দেখা শুরু

নিয়মিত সাফাই হয় না। রাস্তায় দু’ধারে প্রায়ই চোখে পড়বে জঞ্জালের স্তূপ। আবর্জনা পেরিয়েই বাধ্য হয়ে পথ চলতে হয়। পরিস্থিতি দেখে শহরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে উদ্যোগী হল খড়্গপুর পুরসভা। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জমি দেখা শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৪
বদলে যাবে এই ছবি, আশায় বাসিন্দারা। খড়্গপুরের কমলা কেবিনে। নিজস্ব চিত্র।

বদলে যাবে এই ছবি, আশায় বাসিন্দারা। খড়্গপুরের কমলা কেবিনে। নিজস্ব চিত্র।

নিয়মিত সাফাই হয় না। রাস্তায় দু’ধারে প্রায়ই চোখে পড়বে জঞ্জালের স্তূপ। আবর্জনা পেরিয়েই বাধ্য হয়ে পথ চলতে হয়। পরিস্থিতি দেখে শহরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে উদ্যোগী হল খড়্গপুর পুরসভা। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জমি দেখা শুরু হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে শহরের দু’টি এলাকায় জমি দেখা হয়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য ৪-৫ একর জমির প্রয়োজন হয়। ওই দু’টি এলাকাতেই এই পরিমাণ জমি রয়েছে। দু’টি এলাকার মধ্যে একটি এলাকা শহরের বাইরে, খড়্গপুর গ্রামীণে। আর একটি এলাকা অবশ্য শহরের মধ্যে। শহরের তালবাগিচা এলাকার জমিতেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হতে পারে বলে পুরসভার এক সূত্রে খবর। সেই মতো পরিকল্পনাও শুরু হয়েছে।

খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “খড়্গপুরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নেই। এটা একটা বড় সমস্যা। খড়্গপুরের মতো শহরে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থাকা আবশ্যিক। এ নিয়ে উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।” তিনি মানছেন, “ইতিমধ্যে দু’টি জমি দেখা হয়েছে। তালবাগিচায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হতে পারে। শীঘ্রই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে।”

আগের থেকে আড়ে বহরে বাড়ছে রেলশহর। জনসংখ্যা বাড়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আবর্জনার পরিমাণও। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায়ই শহরের আবর্জনা সমস্যা নিয়ে পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয়। যদিও সমস্যার সুরাহা হয় না। শহরে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। গড়ে ওঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপন পদ্ধতিও।

শহরে ৩৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। বাড়ির আবর্জনা। শহরের রাস্তাগুলির পাশে ছোট ভ্যাট রয়েছে। মূলত, এই ছোট ভ্যাটেআবর্জনা ফেলা হয়। ভ্যাটে জমে থাকা আবর্জনা থেকে দূষণ ছড়ায়। অনেক সময় দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে ওঠে। একই জায়গায় দীর্ঘদিন আবর্জনা পড়ে থাকলে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হয় পথচলতি মানুষকে। দুর্ভোগের শেষ থাকে না।

আগে শহরের পাশে জাতীয় সড়কের ধারে আবর্জনা ফেলত পুরসভা। কিন্তু পরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এখানে আবর্জনা ফেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর পুরীগেট সংলগ্ন রেলের জমিতে আবর্জনা ফেলা শুরু হয়। কিন্তু সেখানেও স্থানীয়রা আপত্তি করায় আভর্জনা ফেলা বন্ধ করে দিতে হয়। বিপাকে পড়ে পুরসভা।

রেলশহর খড়্গপুরে এখন প্রতিদিন গড়ে ৭০ মেট্রিক টন আবর্জনা জমে। বিপুল পরিমাণ এই আবর্জনা সরানোর প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোই নেই পুরসভা। সমস্যা সমাধানে কম্প্যাক্টর নামানো হলেও বিশেষ সুরাহা হয়নি। পুরপ্রধান প্রদীপবাবু অবশ্য বলেন, “শহরে নিয়মিত আবর্জনা সাফাই হয়। আসলে যেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, সেখানেই বাধা আসছে। বেশ কিছুটা জমি না পেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপন পদ্ধতি গড়ে তোলা কঠিন। জমির খোঁজ মিলেছে। আশা করছি, ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হলে আবর্জনা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

Kharagpur Municipality
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy