দু’হাজারে ‘না’। পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।
একে উপ-নির্বাচন। তার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো নেমে এসেছে ৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিলের নির্দেশ। আর নোট বদল কাণ্ডের হাত ধরে এসেছে খুচরো সমস্যাও। তার জেরে ভাটা রাসের মেলার বিক্রিতে। মাথায় হাত পূর্ব মেদিনীপুরের ঐতিহ্যবাহী ময়নাগড় রাসমেলার ব্যবসায়ীদের।
চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর থেকে রাসমেলা শুরু হয়েছে। চলবে পয়লা ডিসেম্বর পর্যন্ত। ময়নাগড়ের রাজপরিবারের উদ্যোগে চালু হওয়া রাসমেলা এ বার ৪৫৬ বছরে পা দিয়েছে। ময়নাগড়ের রাজ পরিবারের কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জীউর রাসযাত্রা ঘিরে বসে এই মেলা। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রামীণ কুটির শিল্পের কেনাবেচাও চলে মেলা। আর এই রাসমেলার ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ময়নার অন্যতম বিখ্যাত মিষ্টি ‘কদমা’।
চিনি দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এই কদমা তৈরির কারিগরও আলাদা। ৫০ গ্রাম থেকে ৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত ওজনের কদমা তৈরি হয়। মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিশেষ উপহার হিসেবেও পাঠানোর জন্য কদমা কেনেন বহু বাসিন্দা। ফলে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের কাছে এই কদমার আকর্ষণই আলাদা। প্রতি বছর রাসমেলার চত্বরে গোটা দশেক মিষ্টির দোকানে ভিড় জমে ‘কদমা’ কেনার জন্য। কিন্তু এ বার রাসে রসভঙ্গ করেছে টাকার টানাটানি।
রাসবেলায় ‘কদমা’ র দোকান বসলেও অন্যান্য বছরের সেই ভিড় এ বার নজরে পড়ল না। নোট বদল নিয়ে খুচরো টাকা পাওয়ায় সমস্যার জেরেই বিক্রি অনেকটাই কম বলে জানান রাসমেলায় আসা ওই মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। কদমা তৈরি ও ব্যবসার সাথের জড়িত ৬৬ বছর বয়সী নিতাইবাবুর কথায়, ‘‘আমাদের দোকান রয়েছে ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে। কিন্তু প্রতি বছর রাসমেলার সময় এখানে কদমা বিক্রির দোকান দেওয়া হয়। এ বার কিন্তু বিক্রি অনেকটাই কম।’’ তিনি জানান, মেলায় প্রতিদিন দোকানে ৩০-৩৫ হাজার টাকার বিক্রি ছিল। নোট কাণ্ডে এক ধাক্কায় দৈনিক বিক্রি নেমে গিয়েছে ১০-১২ হাজার টাকায়।
মেলায় দোকান দেওয়া আর এক ব্যসবায়ী অনুপ সামন্ত বলেন, ‘‘এ বার প্রতি কেজি কদমা বিক্রি করা হচ্ছে ৯০ টাকা দামে। লোকে ৫০০ গ্রাম থেকে ৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত কদমা কেনে। তবে অধিকাংশ ক্রেতা ১ থেকে ২ কিলোগ্রাম কদমা কিনে ৫০০ টাকার নোট ধরাচ্ছে। এত খুচরো দেব কী করে?’’ মেলায় দুটো কদমার দোকান দেওয়া স্থানীয় মিষ্টি ব্যবসায়ী স্মরণ মাইতির কথায়, ‘‘আগে দিনে ৪০ হাজার টাকার কদমা বিক্রি করতাম। এবার তা কমে গিয়ে ১৫-২০ হাজার দাঁড়িয়েছে। কদমা তৈরির কারিগরদের আয়ও কমেছে।’’
কদমা ব্যবসায়ীরা জানান, মেলায় সব কদমা দোকান মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড়–দু’ লক্ষ টাকার কদমা বিক্রি হত। এ বার সেই বিক্রির পরিমাণ নেমে গিয়েছে অর্ধেকে। ময়না রাসমেলা কমিটির সম্পাদক স্বরুপানন্দ বাহুবলীন্দ্র অবশ্য আশার কথাই শোনালেন। বলেন, ‘‘মেলার প্রথমে ভিড় কিছুটা কম ছিল। তবে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। খুচরো সমস্যার জেরে ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমেছে, সেটা অস্বীকার করছি না। তবে আশা করি রাসের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy