Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

থানার কাছেই তৃণমূল নেতার ক্ষতবিক্ষত দেহ

থানা থেকে দু’শো মিটার দূরে উদ্ধার হল এক তৃণমূল নেতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানা এলাকায় নিহত সুভাষ দাস (৪৫) তৃণমূলের নয়াগ্রাম ৭ নম্বর অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। নয়াগ্রামের বটতলার বাসিন্দা সুভাষবাবু বুধবার সন্ধ্যায় কাছেই ডাহি গ্রামে অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াগ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ১৫:৫৬
Share: Save:

থানা থেকে দু’শো মিটার দূরে উদ্ধার হল এক তৃণমূল নেতার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম থানা এলাকায় নিহত সুভাষ দাস (৪৫) তৃণমূলের নয়াগ্রাম ৭ নম্বর অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।

নয়াগ্রামের বটতলার বাসিন্দা সুভাষবাবু বুধবার সন্ধ্যায় কাছেই ডাহি গ্রামে অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। রাত ন’টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তারপর মোবাইলে ফোন পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রাতে আর ফেরেননি। তাঁর স্ত্রী দীপ্তিদেবী মোবাইলে ফোন করেও স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নয়াগ্রাম থানা থেকে দু’শো মিটার দূরে মোরাম রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে সুভাষবাবুর দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষত ছিল। আর সুভাষবাবুর মোটর বাইকটি রাস্তার মাঝে আড়াআড়ি পড়েছিল।

স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা মৃত্যুর কারণ জানতে প্রকৃত তদন্তের দাবি তুললে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয় পুলিশ কুকুর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে সুভাষবাবুকে। তবে কে বা কারা, কেন এই তৃণমূল নেতাকে খুন করেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। যদিও নিহতের স্ত্রী দীপ্তিদেবী জানান, এলাকারই এক মহিলা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল সুভাষবাবু। ওই মহিলাই তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে সুভাষবাবুকে খুন করেছেন বলে দীপ্তিদেবীর অভিযোগ। পুলিশও মোবাইল কললিস্ট খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে, খুনের রাতে ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীর মোবাইল থেকে সুভাষবাবুকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল। ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাসের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE