বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে পুকুর। —নিজস্ব চিত্র।
পুর এলাকায় বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে একাধিক ছোট-বড় পুকুর থেকে জলাশয়। ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে সরকারি রাজস্বেও। অভিযোগ, এ বিষয়ে মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুর প্রশাসন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের ক্ষীরপাই পুরসভায় কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাটি মাফিয়াদের এই রমরমা কারবার চলছে বলে অভিযোগ।
রাজ্য সরকার ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের উপর জোর দিচ্ছে। তবে ক্ষীরপাই এলাকায় একের পর এক জলাশয় বুঝিয়ে ফেলা হলেও উদাসীন পুর প্রশাসন। ওই পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বড় জলাশয় বেশ কয়েকদিন ধরেই বুঝিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অসিত মল্লিক নামে স্থানীয় এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টি বার বার পুরসভার নজরে আনা হলেও আইনানুগ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এলাকার এক বাসিন্দা নন্দকিশোর ঘোষের দাবি, “পুকুর পরিষ্কার করার জন্য বহু বার পুরসভায় জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থায় নেওয়া হয়নি। উল্টে তা বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর সঙ্গে প্রোমোটাররা জড়িত।”
বৃহস্পতিবার পুকুর বোজানোর জন্য ট্র্যাক্টরে একটি জলাশয়ে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়। যদিও পুকুর বোজানোর অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত প্রোমোটার অসিত। তাঁর দাবি, “এটা বাস্তু জমি বলে রেকর্ডে রয়েছে। কোনও পুকুর নয়। আইন মেনেই কাজ চলছে।”
খবর পেয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেন ভূমি দফতরের আধিকারিক-সহ চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ ১টি জেসিবি সমেত ৪টি মাটি বোঝাই ট্র্যাক্টর আটক করেছে।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল পরিচালিত ক্ষীরপাই পুরসভার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা কার্তিকচন্দ্র সরেনের দাবি, “শুধু ১টা জলশয় নয়, ক্ষীরপাই পুর এলাকায় বালি, মাটি মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। ভূমি দপ্তরের কর্মী-সহ পুর প্রশাসক এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।” যদিও ক্ষীরপাই পুরসভার প্রশাসক দুর্গাশঙ্কর পানের পাল্টা দাবি, “পুকুর বোজানো নিয়ে স্থানীয়রা কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তবেই ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy