Advertisement
০২ মে ২০২৪

মেয়াদ শেষেও চালু নার্সিংহোম

লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। এখনও পুনর্নবীকরণ হয়নি। তারপরেও মেদিনীপুর শহরের বুকে রমরমিয়ে চলছে একটি নার্সিংহোম। পরিদর্শনে গিয়ে যা দেখে হতবাক জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা।

বেআইনি: এই সেই নার্সিংহোম। নিজস্ব চিত্র

বেআইনি: এই সেই নার্সিংহোম। নিজস্ব চিত্র

বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:৩৮
Share: Save:

লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে গত ১২ জানুয়ারি। এখনও পুনর্নবীকরণ হয়নি। তারপরেও মেদিনীপুর শহরের বুকে রমরমিয়ে চলছে একটি নার্সিংহোম। পরিদর্শনে গিয়ে যা দেখে হতবাক জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা।

মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলার কাছে রয়েছে এই ‘মহামায়া নার্সিংহোম’। বৃহস্পতিবার রাতে এখানে ঢুঁ মারে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পরিদর্শক দল। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা, উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান প্রমুখ। শুধু লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরনো নয়, পরিদর্শনে বেআব্রু হয়েছে আরও কিছু অনিয়ম। যেমন, ২০ শয্যার নার্সিংহোমটিতে হিসেব মতো অন্তত ৪ জন প্রশিক্ষিত নার্স থাকার কথা। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তারা একজনকেও দেখতে পাননি। নার্সিংহোমের মালিক পতিতপাবন মণ্ডলের সাফাই, “পরিদর্শক দল যখন আসে, সেই মুহূর্তে নার্স ছিল না। তবে সকাল-সন্ধ্যা সব সময়ই নার্স থাকে।” পরিদর্শক দল দেখে, নার্সিংহোমে রেট-চার্ট নেই। অথচ, নার্সিংহোমে রেট-চার্ট থাকা বাধ্যতামূলক। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তার আরও সংযোজন, “ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জও এ দিক-সেদিকে ছড়িয়ে ছিল। এটা চূড়ান্ত উদাসীনতা।”

সব দেখে এই নার্সিং হোমকে শো-কজ করতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু মানছেন, “পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, নার্সিং হোমটির লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই ফুরিয়েছে।” শো-কজের জবাব সন্তোষজনক না হলে নার্সিংহোমটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। নার্সিংহোমের মালিক পতিতপাবন মণ্ডলের দাবি, “লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণের আবেদন আগেই করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nursing Home License License Period
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE