Advertisement
২০ মে ২০২৪

টাকার পরে ভোটে মদেও নজর কমিশনের

আবগারি দফতর সূত্রে খবর, ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে আগাম সতর্কতা হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি মদ ব্যবসার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান শুরু হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের সময় ভোটারদের প্রভাবিত করা রুখতে বেআইনি টাকা লেনদেন রুখতে নজরদারি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আয়কর দফতরের তরফে অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে প্রায় কোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনা। এ বার ভোটের সময় মদ খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে বেআইনি মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান ও সরকার অনুমোদিত মদের দোকানে নজরদারি শুরু করল কমিশন।

আবগারি দফতর সূত্রে খবর, ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে আগাম সতর্কতা হিসেবে পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি মদ ব্যবসার বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি সরকার অনুমোদিত মদের দোকান থেকে মদ বিক্রিতেও নজরদারি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নিয়ম মেনে ‘স্পর্শকাতর’ মদের দোকান চিহ্নিত করা হচ্ছে। কী ভাবে চিহ্নিত হচ্ছে ‘স্পর্শকাতর’ দোকান? আবগারি দফতরের এক কর্তা জানান, যেমন কোনও দোকানে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গড়ে প্রতিদিন একশো লিটার করে মদ বিক্রি হয়েছিল। মার্চ মাসে ওই দোকানে আগের চেয়ে তিরিশ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ১৩০ লিটারের বেশি মদ বিক্রি হলে সেই দোকানকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কোনও দোকানে গত বছরে এই একই সময়ে এ বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মদ দোকানে মজুত থাকলে সেই দোকানকে ‘স্পর্শকাতর’ চিহ্নিত করা হচ্ছে। মদ বিক্রি বা মজুতের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে দোকানগুলির কাছে। উপযুক্ত কারণ জানাতে না পারলে দোকানের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

জেলা আবগারি দফতর সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে সরকারি অনুমোদিত ২৭০ টি মদের দোকান রয়েছে। গত ১০ মার্চ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় ২২টি মদের দোকানকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনে জেলায় সরকারি অনুমোদিত মদের দোকানগুলিতে মদ বিক্রির পরিমাণ সংক্রান্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কমিশনের কাছে পাঠানো হচ্ছে। জেলা আবগারি দফতরের অধীক্ষক মানিক সরকার বলেন, ‘‘সরকার অনুমোদিত মদের দোকানগুলিতে মদের বিক্রি ও মজুতের পরিমাণ খতিয়ে ‘স্পর্শকাতর’ হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। নিয়মিত পরিদর্শন ও অনিয়ম রুখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলাজুড়ে বেআইনিভাবে মদ তৈরি ও ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান হচ্ছে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 Election Commission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE