পরিবারের মহিলাদের আর্থিক সাহায্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শিবিরে এই প্রকল্পের জন্যও আবেদন করা যাবে। অনুমান, নতুন এই প্রকল্পের জন্য বিপুল আবেদন আসতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুরে আবেদনের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১০ লক্ষ।
গত বছর ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘স্বাস্থ্যসাথী’র জন্য ঢল নেমেছিল। এ বার শিবিরে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র জন্য ঢল নামতে পারে। সবদিক দেখে সুষ্ঠুভাবে শিবির আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসনও। নতুন ওই প্রকল্পের আবেদনপত্রও ছাপানো হচ্ছে। শিবিরে মিলবে আবেদনপত্র। সোমবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাবেন। মা- বোনেরা দুয়ারে সরকারে নামগুলি লিখিয়ে নেবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাঁদের আছে, তাঁরা পাবেন। তা-ও নামগুলি লিখিয়ে নেবেন। যা কথা দিয়েছিলাম, প্রত্যেকটা কথা রেখেছি। আপনাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিন্ত।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘১৬ অগস্ট থেকে দুয়ারে সরকার শিবির হবে। শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। সুষ্ঠুভাবে শিবির আয়োজনে যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হচ্ছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ব্লকগুলির সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে। জেলার তরফে প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্লকগুলিকে। সেই মতো ব্লকগুলিও প্রস্তুতি সারতে শুরু করেছে। পরিবারের মহিলাদের আর্থিক সাহায্যেই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প রূপায়ণে তৎপর হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভোটের আগে এই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কথা রেখেছে তৃণমূল সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের মহিলারা মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন। বাকি মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। ‘কন্যাশ্রী’র মতো ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নারী ও সমাজকল্যাণ দফতরকে। জেলায় সমাজকল্যাণ দফতর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সারছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে যাঁরা নথিভুক্ত রয়েছেন, আবেদন করলে সেই সমস্ত মহিলারাই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০- এর মধ্যে। এই সূত্রেই অনুমান, জেলায় নতুন ওই প্রকল্পে আবেদনের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১০ লক্ষ।