Advertisement
E-Paper

জল জমে নালায়, জমছে আবর্জনাও

রাস্তার ধারে ভ্যাটে উপচে পড়ছে আবর্জনা। নিকাশি নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। সব ওয়ার্ডে নিয়মিত মশা মারার তেলও স্প্রে করা হচ্ছে না। শহরের এক বাসিন্দার অভিযোগ, গতবারের পরিস্থিতির পরও এ বার পুরসভার কোনও হেলদোল নেই দেখে অবাক লাগছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ০০:০০
জল-ছবি: নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। মেদিনীপুর শহরের প্রগতিনগরে জমে রয়েছে জল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জমে থাকা জলই মশার আঁতুড়ঘর। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

জল-ছবি: নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। মেদিনীপুর শহরের প্রগতিনগরে জমে রয়েছে জল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জমে থাকা জলই মশার আঁতুড়ঘর। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

গত বছর মেদিনীপুর শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছিল। বেসরকারি মতে অবশ্য আক্রান্তের সংখ্যা ছিল দেড় শতাধিক। এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান না মিললেও মেদিনীপুর শহরে অনেকে জ্বরে ভুগছেন। তারপরেও অবশ্য টনক নড়েনি পুরসভার। শহরবাসীর অভিযোগ, মশা নিধনে উদাসীন পুরসভা।

রাস্তার ধারে ভ্যাটে উপচে পড়ছে আবর্জনা। নিকাশি নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। সব ওয়ার্ডে নিয়মিত মশা মারার তেলও স্প্রে করা হচ্ছে না। শহরের এক বাসিন্দার অভিযোগ, গতবারের পরিস্থিতির পরও এ বার পুরসভার কোনও হেলদোল নেই দেখে অবাক লাগছে। পুর-কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, এ বার পরিস্থিতি খারাপ হবে না। কারণ, আগে থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলছেন, “এ বার এখনও পর্যন্ত শহরের কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি।” তাঁর কথায়, “মশার বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। সব ওয়ার্ডেই মশা-নাশক রাসায়নিক স্প্রে করার কাজ চলছে। এক-একটি এলাকায় এক-একদিন এই রাসায়নিক স্প্রে করা হচ্ছে।” পুরপ্রধান এমন দাবি করলেও পুরসভারই এক সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত রাসায়নিক মজুত নেই। ফলে, সব দিন সব ওয়ার্ডে মশা-নাশক এই রাসায়নিক স্প্রেও করা যাচ্ছে না।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার সদর শহর মেদিনীপুর। শহরে ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। জমা জলই শহরে মশাবাহিত রোগের অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। গতবার জমা জল সরাতে সে ভাবে পুরসভা পদক্ষেপ করেনি। তার ফল ভুগতে হয়েছে। এ বারও ছবিটা এক। শহরের রাস্তায় ঘুরলেই চোখে পড়বে, নিকাশি নালাগুলোয় জল জমে রয়েছে।

শহরবাসীর বক্তব্য, শহরে নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার হয় না। নোংরা-আবর্জনা বৃষ্টির জলে ধুয়ে নিকাশি নালায় জমবে। নোংরা জলে মশার উপদ্রব বাড়বে। জমা জলে মশার লার্ভা কিলবিলও করছে। মেদিনীপুরের এক পুরকর্তার দাবি, “শহরের কোথাও যাতে জল জমে না থাকে ও জলে মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে সে বিষয়ে ওয়ার্ডগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়া দেওয়ার কাজও চলছে।’’ জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “মেদিনীপুরে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”

Mosquito Logged Water Dengue ডেঙ্গি মশা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy