ক্ষোভ: গ্রামে ভোট বয়কটের ব্যানার। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় প্রচারও শুরু করেছে রাজনৈতিকদলগুলি। এমনই আসন্ন ‘যুদ্ধে’র মুখে গ্রামের বেহাল গ্রাম নিয়ে সরব হলেন পুলশিটা পঞ্চায়েতের যোগীবেড়ের বাসিন্দারা। অভিযোগ, এলাকায় নামমাত্র উন্নয়ন হয়েছে। বেহাল রাস্তা, পানীয় জলের মতো গুরুতর সমস্যাগুলির আদৌ সমাধান মেলেনি।
কোলাঘাটের যোগীবেড় গ্রাম আয়তনে বড় হওয়ায় সেখানে দু’টি বুথ রয়েছে। ওই গ্রামেই বিভিন্ন দাবিদাওয়া পূরণের আর্জি জানিয়ে ব্যানার টাঙিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। দাবি পূরণ না হলে এক বুথে (বুথ ১৫৯) ভোট বয়কটের ‘হুমকি’ দিয়েছেন তাঁরা। ব্যানারে অন্তত তেমনই উল্লেখ রয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এলাকার হাল ফেরেনি।
স্থানিয় বাসিন্দা মানিক ঘোষ বলেন, ‘‘প্রধানত দু’টি কারণে এখানে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার যে রাস্তা এই এলাকা দিয়ে গেছে, তার এক কিলোমিটার অংশ পুরো বেহাল। রাস্তার অন্য জায়গায় কাজ হলেও যোগীবেড় গ্রামে কাজ হয়নি। প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথ চলতি মানুষ।’’ গ্রামের এক মহিলা ছবি ঘোষ বলেন, ‘‘এই রাস্তায় প্রতিদিন অজস্র মানুষ যাতায়াত করেন। স্কুলের বাচ্চারা সাইকেলে যাতায়াত করতে গিয়ে হামেশাই ছোটখাট দুর্ঘটনার
কবলে পড়ে।’’
দ্বিতীয় কারণ হিসাবে উঠে এসেছে পানীয় জলের সমস্যা। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘গ্রামে সৌরচালিত সাবমার্সিবল পাম্প হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার সংস্থা কাজ কয়েকদিনের মধ্যে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও কাজ শুরু হয়নি।’’ অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রশাসন কেউই ওই সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব দেননি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গ্রামসদস্য প্রশান্ত মাইতি কার্যত অভিযোগ এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তার কাজ জেলা পরিষদের। এতে আমার কোনও হাত নেই। মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শুনেছি। মিটয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ এই বিষয়ে কোলাঘাটের বিডিও তাপস হাজরাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছি।’’
যোগীবেড় গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষোভে এখন কতটা মলম দিতে পারে শাসকদল, আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy