প্রদীপ জ্বালিয়ে হেরটেজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। —নিজস্ব চিত্র।
পঁচেট জমিদার বাড়িকে আনুষ্ঠানিক ভাবে হেরিটেজ ঘোষণা করা হল শনিবার। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর-২ ব্লকে জমিদার বাড়ি চত্বরে হেরিটেজ ফলকের উম্মোচন করেন রাজ্য হেরিটেজ পর্ষদ এবং হাইকোর্টের বিচারপ্রতি সুব্রত তালুকদার।
আনুমানিক ১৫৬৪ সালে কালু মুরারিমোহন ওড়িশা থেকে পটাশপুর পরগনায় আসেন। পঁচেট গ্রামে রাজধানী বা ‘গড়হাভেলি’ তৈরি হয়। স্বাধীনতার পরেই জমিদারি প্রথা উঠে যাওয়ায় পঁচেট জমিদার বাড়ির সম্পত্তি দখলদারদের হাতে বেহাত হতে থাকে। প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীর মন্দিরময় পঁচেট গড়হাভেলি ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রাচীন ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল। পঁচেট গড়ের সেই স্থাপত্য এবং তার সংরক্ষণে গঠিত হয় ‘পঁচেটগড় দেবত্তোর সেবায়েত বোর্ড’। ওই কমিটিই এতদিন রক্ষণাবেক্ষণ করছিল। বর্তমানে অর্থ সঙ্কটে রক্ষণাবেক্ষণ অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রাচীন এই স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বোর্ডের তরফে রাজ্য হেরিটেজ পর্ষদে আবেদন জানানো হয়।
ওই আবেদনের পর গত ১৩ অগস্ট রাজ্য হেরিটেজ পর্ষদের বৈঠকে পঁচেটগড় জমিদার বাড়ি এবং সংলগ্ন মন্দিরময় স্থাপত্যকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শনিবার পর্ষদের তরফে হেরিটেজ ফলক স্থাপন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে পঁচেট জমিদারবাড়িকে হেরিটেজ ভবন হিসেবে ঘোষণা করা হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য হেরিটেজ পর্ষদের দুই আধিকারিক, পঁচেটগড় দেবোত্তর সেবায়ত বোর্ডের সম্পাদক সুব্রত নন্দন দাস মহাপাত্র প্রমুখ।
শিশিরবাবু বলেন, ‘‘আগামী দিনে এই জমিদার বাড়ি এবং সংলগ্ন স্থাপত্যগুলি হেরিটেজ পর্ষদ কর্তৃক সংস্কার করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। এখানকার প্রাচীন স্থাপত্য এবং জমিদার বাড়ির ইতিহাস জানতে পর্যটকেরা আসবেন। যার ফলে এলাকার অর্থনীতির ছবিটা বদলাবে। পাশাপাশি পটাশপুরের মানুষের কাছে এটা গর্বেরও বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy