উদ্ধার হওয়া সেই ইরাবতী ডলফিনের দেহ। নিজস্ব চিত্র
দু’দিনের মধ্যে মৃত্যু হল একটি শুশুক এবং একটি ইরাবতি ডলফিনের। শনিবার মহিষাদলের দনিপুরের কাছে একটি গাঙ্গেয় শুশুকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আর মঙ্গলবার রাতে মহিষাদলের গেঁওখালির শ্মশান ঘাটের কাছে একটি ইরাবতী ডলফিনের মৃতদেহ পাওয়া গেল। শনিবার গাঙ্গেয় শুশুকটির দেহ অবশ্য উদ্ধার করা যায়নি। দূষণের ভয়ে স্থানীয়রা তার পেট চিরে জোয়ারের জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। এ দিন অবশ্য অদ্ভূতদর্শনের ডলফিনটির দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওই স্ত্রী ডলফিনটি সাড়ে ন’ফুট লম্বা এবং ওজন ২০০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি। জোয়ারের জলে ভেসে আসে ডলফিনটি। তার মাথায় আঘাতের দাগ রয়েছে। মুখেও রয়েছে রক্ত।
কলেজের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, ডলফিনের দেহটি উদ্ধার করতে তাদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান শুভময় দাস ডলফিন নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্থানীয়েরা মৃত ডলফিনটির জন্য পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রাণীটি গবেষণার কাজে লাগানো হবে, বলার পরও মৎস্যজীবীরা সেটিকে দিতে রাজি হননি। অবশেষে কিছু টাকা দিয়ে সেটিকে আনা হয় রাজ কলেজে। রাতে কলেজ খুলেই সেটিকে বিশেষ ভাবে সংরক্ষণ করা হয়।’’
শুভময় জানাচ্ছেন, ওই প্রাণীটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন। তবে এর মুখটি ভোঁতা ধরনের। কোনও বড় আঘাতেই সেটির মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন। উল্লেখ্য, ডলফিন বাঁচানোর জন্য জলের মধ্যে সেন্সর ব্যবহার করা এবং প্রাণীগুলির সুরক্ষার দাবি করে আসছেন শুভময়। সাম্প্রতিক কালে পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিক মৃত ডলফিন পাওয়া গিয়েছে। কয়েক মাস আগে কাঁথিতে খালেও ঢুকে পড়েছিল অন্তঃসত্ত্বা একটি ডলফিন। তবে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন বন দফতর।
মঙ্গলবার রাতে মৃত ডলফিন উদ্ধার প্রসঙ্গে জেলা বন আধিকারিক স্বাগতা দাস বলেন, ‘‘ওই ডলফিনটি জাহাজের ব্লেডে কাটা পড়েছে বলে জেনেছি। জ্যান্ত এলে যাতে ওদের উদ্ধার করা হয়, সেই বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy