মেদিনীপুর-কেশপুর রাস্তার হাল এমনই। — নিজস্ব চিত্র।
মাঝেমধ্যেই খানাখন্দ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ফের বিপত্তি। পিচ উঠে বেরিয়ে পড়ে খানাখন্দ। এমনই হাল জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেদিনীপুর-কেশপুর রাজ্য সড়কের। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটছে। রাস্তা সারানোর দাবিতে সম্প্রতি একদিনের প্রতীকী ধর্মঘটও পালন করে বাস মালিকেরা। তারপরেও অবশ্য রাস্তা সংস্কারে হুঁশ নেই প্রশাসনের।
কেন এমন অবস্থা? জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “মেদিনীপুর- কেশপুর রাস্তাটি নতুন করে তৈরি করা হবে। এ জন্য পরিকল্পনাও হয়েছে। আশা করা যায়, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” গত সোমবার বিধানসভায় পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করে মেদিনীপুর-কেশপুর রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়। বিধায়কের দাবি, “ওই রাস্তার কথা পূর্তমন্ত্রীকে জানিয়েছি। রাস্তাটি নতুন করে তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। তবে আপাতত অস্থায়ী ভাবে কিছু অংশ মেরামতের কথা বলেছি। উনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।” নতুন রাস্তার কাজ কবে শুরু হবে? দীনেনবাবুর কথায়, “দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।”
মেদিনীপুর থেকে কেশপুরের দূরত্ব ২০.৫ কিলোমিটার। মাস কয়েক আগেও রাস্তার কিছুটা অংশে জোড়াতাপ্পি দেওয়া হয়। যদিও কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের একই হাল। এই রাস্তাটি নতুন করে তৈরি করতে খরচ পড়বে প্রায় একশো কোটি টাকা। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য রাজ্যের কাছে আর্জিও জানানো হয়েছে। পূর্ত দফতরের এক সূত্রে খবর, আগের পরিকল্পনা মতো কাজ হলে এতদিনে কাজ শুরু হয়ে যেত। রাস্তাটি আরও চওড়া করে নতুন ভাবে তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনায় কিছু সংশোধন প্রয়োজন ছিল। পরিকল্পনায় কিছু সংশোধন প্রয়োজন থাকার জন্যই তা ফের রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বার অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। কবে অনুমোদন মিলবে, সেই প্রশ্নের অবশ্য সদুত্তর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy