তমলুক শহরের প্রবেশের পথে ধারিন্দার বন্ধ রেলগেটে দাঁড়িয়ে গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শহর তমলুকের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বের রেললাইনের মাঝে রয়েছে চারটি লেভেল ক্রসিং। সঙ্গে একাধিক ছোট ছোট প্রহরীবিহীন রেললাইন পারাপারের পথ। হাওড়া থেকে হলদিয়া, দিঘাগামী রেলপথে গাড়ি যাতায়াত লেগে থাকে দিনভর। ফলে সারা দিনে বেশ কয়েকবার লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে থাকা গেট ফেলে আটকানো হয় যানবাহন। আর সেই তালিকা থেকে ছাড় নেই অ্যাম্বুল্যান্সেরও।
তমলুক শহর থেকে হলদিয়াগামী সড়কে তালপুকুর রেলগেট, শ্রীরামপুর, ময়না, পিংলাগামী রাজ্যে সড়কে ধারিন্দা রেলগেটএবং পাঁশকুড়াগামী রাজ্য সড়কে মানিকতলা সংলগ্ন রেলগেটে আটকে সমস্যায় পড়ছেন হাজার হাজর মানুষ। ওইসব রেলগেটে আটকে হয়রানি বন্ধ করতে উড়ালপুল নির্মাণের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছর দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার তমলুক স্টেশন পরিদর্শনের সময় তৎকালীন তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ধারিন্দা রেলগেটের ময়নাগামী সড়কে উড়ালপুল নির্মাণের জন্য দাবি জানিয়েছিলেন। এখনও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ হয়নি। দক্ষিণ- পূর্ব রেলের হাওড়া থেকে পাঁশকুড়া হয়ে হলদিয়াগামী রেললাইন তৈরি হয়েছিল সাতের দশকে। রেলপথে তমলুক স্টেশন, মানিকতলার কাছে শহিদ মাতঙ্গিনী স্টেশন হয়েছিল। ওই রেলপথে মেচেদা থেকে হলদিয়াগামী রাজ্য সড়কে রেল গেট রয়েছে। গত কয়েক বছরে এই রেলপথে ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে অনেক। এই রেলপথে ট্রেন যাতায়াতের সময় রেলগেটে আটকে পড়ে যানবাহন। ট্রেন আসার আগে ও পরে মিলিয়ে প্রতিবার ৪-৫ মিনিট ধরে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে আটকে থাকতে হয়। অনেক সময় পর দুটি ট্রেন-মালগাড়ি যাতায়াত করে। তখন এই সময় আরও বাড়ে। তমলুক স্টেশনের রেল দফতরের এক আধিকারিক জানান, হলদিয়া ও দিঘাগামী এই রেলপথে ট্রেন ও মালগাড়ি মিলিয়ে এখন প্রতিদিন ৩০-৩২ টি ট্রেন যাতায়াত করে। নিয়ম মেনেই ওইসব ট্রেন যাতায়াতের সময় লেভেলে ক্রসিংগুলিতে রেলগেট ফেলে সড়কে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
অসুবিধার কথা জানিয়ে মেচেদা-শ্রীরামপুর রুটের বাস চালক নুর আমিন বলেন, ‘‘সারাদিনে অন্তত তিন-চারবার ধারিন্দা রেলগেটের কাছে আটকে পড়তে হয়। যাত্রীরা প্রায়ই আমাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই রেলগেটের উড়ালপুল তৈরি করা জরুরি।’’ ডহরপুর এলাকার বাসিন্দা তথা বাগডোবা জালপাই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিধানচন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘‘প্রায়ই রেলগেটে আটকে গিয়ে অনেকটা সময় চলে যায়। শহরের এই রেলগেটের কাছে উড়ালপুল তৈরি খুবই জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy