Advertisement
১১ মে ২০২৪

ছোট থেকেই শারীরিক অত্যাচার করত বাঁশরী

যুবতীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের মধ্যে এক যুবতীকে খুনের উদ্দেশ্যে পিস্তল নিয়ে ঘুরছিলেন এক বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় কোনও রকম অঘটন ঘটেনি। পরে বাঁশরী জানা নামে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১৯
Share: Save:

যুবতীকে গুলি করে খুনের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের মধ্যে এক যুবতীকে খুনের উদ্দেশ্যে পিস্তল নিয়ে ঘুরছিলেন এক বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় কোনও রকম অঘটন ঘটেনি। পরে বাঁশরী জানা নামে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবতী বাঁশরীর আত্মীয়। এর আগে একাধিকবার মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন ওই বৃদ্ধ। সম্মতি না-দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন। শুক্রবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু তথ্য সামনে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও কিছু তথ্য সামনে আসবে।”

৫৯ বছরের বাঁশরীর বাড়ি কেশপুর থানা এলাকার এনায়েতপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই যুবতীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। সেই সুযোগটিই নেন বাঁশরী। বছর ছয়েক আগে তিনি ওই যুবতীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নেন। যুবতীর বাবাকে এই তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন এই বলে যে, মেয়েটিকে তিনি মানুষ করবেন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করে দেবেন। মেয়ে যে বাড়ি ছেড়ে থাকবে তা সে বুঝতেই পারবে না! অভিযোগ, তারপর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার।

মাস কয়েক আগে ওই যুবতীকে মেদিনীপুরের একটি নার্সিং হোমে কাজের ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন ওই বাঁশরী। তারপর থেকেই মেয়েটি কেশপুরে আত্মীয়ের বাড়ি ছেড়ে মেদিনীপুরেই থাকন শুরু করেছিলেন। জেলা পুলিশের ওই কর্তার কথায়, “ছোটবেলা থেকে মেয়েটি ওই বৃদ্ধকে ভয় পেত। বাঁশরী যা তাই করতে বাধ্য হত। পরে ওই পরিবেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল মেয়েটি। আর সেটাই সহ্য করতে পারেননি বাঁশরী।’’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের রামকৃষ্ণনগরে ওই যুবতীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে বাঁশরী। বৃদ্ধের পকেটে ছিল পিস্তল ও গুলি। স্থানীয় ওই নার্সিং হোম থেকে যুবতী বের হতেই তাঁকে নিশানা করেন বৃদ্ধ। কিন্তু সেই সময় রাস্তায় লোকজন চলে আসায় হকচকিয়ে যান তিনি। হাত থেকে পিস্তল পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

শুক্রবার কেশপুর থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন যুবতীর বাবা। জেলা পুলিশের ওই কর্তার আশ্বাস, “দ্রুতই ঘটনার কিনারা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sensational information
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE