Advertisement
১৭ জুন ২০২৪

হিজলির প্রাথমিক স্কুলে স্মার্টবোর্ড

আইআইটি চত্বরে ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিজলি জুনিয়ার বেসিক স্কুল। একসময় আইআইটির অধ্যাপক-কর্মীদের সন্তান ও আশপাশের এলাকার ছেলেমেয়েরা একানে পড়ত। পরে আইআইটি চত্বরে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা বাড়ায় অনেক পড়ুয়া সেই দিকে ঝুঁকেছে।

শুরু: স্মার্টবোর্ডের উদ্বোধনে হাজির পুরপ্রধান। —নিজস্ব চিত্র।

শুরু: স্মার্টবোর্ডের উদ্বোধনে হাজির পুরপ্রধান। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫৫
Share: Save:

পড়াশোনার মানোন্নয়নে কমিউনিটি কম্পিউটার উইথ প্রজেক্টর স্মার্টবোর্ড পেল এক প্রাথমিক বিদ্যালয়। শুক্রবার খড়্গপুর চক্রের হিজলি জুনিয়র বেসিক স্কুলে ওই স্মার্টবোর্ডের উদ্বোধন হয়। শহরে প্রথম এই প্রাথমিক বিদ্যালয়েই অভিভাবকদের জন্য পুরসভার গড়ে দেওয়া প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধনও হয় এ দিন। ছিলেন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। এর আগে খড়্গপুর পশ্চিম চক্রের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্মার্টবোর্ড পেয়েছিল। তবে হিজলি জুনিয়ার বেসিক স্কুলে আসা প্রায় ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা দামের স্মার্টবোর্ডটি আরও অত্যাধুনিক বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।

আইআইটি চত্বরে ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিজলি জুনিয়ার বেসিক স্কুল। একসময় আইআইটির অধ্যাপক-কর্মীদের সন্তান ও আশপাশের এলাকার ছেলেমেয়েরা একানে পড়ত। পরে আইআইটি চত্বরে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা বাড়ায় অনেক পড়ুয়া সেই দিকে ঝুঁকেছে। হিজলি জুনিয়র বেসিক স্কুলে ১৬টি শ্রেণিকক্ষ। বর্ষায় অধিকাংশ ঘরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। শিক্ষা দফতর উদ্যোগী না হওয়ায় শিক্ষক ও অভিভাবকরাই উদ্যোগী হয়ে একটি-একটি করে ক্লাসঘর সংস্কার করছে।

তবে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শহরের প্রথম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছিল এই স্কুলে। বাধ্যতামূলক না হওয়া সত্ত্বেও এই স্কুলে চারটি কম্পিউটার-সহ প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু হওয়ায় তা প্রশংসিত হয়েছিল। এ দিন ওই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই স্মার্টবোর্ডের উদ্বোধন হয়।

স্মার্টবোর্ড পেয়ে খুশি পড়ুয়ারা। আপাতত চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে স্মার্টবোর্ড ব্যবহার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। চতুর্থ শ্রেণির উৎসব দে, বিপাশা দাস, পঞ্চম শ্রেণির মৃত্তিকা পতিদের কথায়, “ব্ল্যাক বোর্ডে চক দিয়ে লেখা অনেক সময় স্পষ্ট বোঝা যায় না। কিন্তু স্মার্টবোর্ডে একেবারে ঝকঝকে লেখা। একবছর আগে তো কম্পিউটার কিছুই জানতাম না। স্কুলে কম্পিউটার আসায় অনেক কিছু করতে পারি। স্মার্টবোর্ড ব্যবহারও শিখে যাব।” স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ দে বলেন, “স্কুলের মানোন্নয়নে শিক্ষকরা আপ্রান চেষ্টা করছেন। তার স্বীকৃতি হিসাবে রাজ্য সরকার ও পুরসভা যে উপহার দিল তাতে আমরা আপ্লুত।” ওই চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক পার্থসারথী ঘোষ জানান, প্রতিটি চক্রেই একটি করে স্কুল এই স্মার্টবোর্ড পাচ্ছে। সব দিক বিচার করেই রাজ্য থেকে হিজলি জুনিয়ার বেসিক স্কুলকে স্মার্টবোর্ড দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE