ধুঁকতে থাকা কৃষি খামার পরিদর্শনে এসে প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ তালিকা দিয়ে গেলেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তাঁর কথায়, “এখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। লাভজনক বীজ তৈরির ক্ষেত্র হিসেবে এই খামারকে তৈরি করতে হবে। কী কী করলে এই কৃষি খামারকে পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা যায়, তার তালিকা পাঠাতে বলেছি। আগামী বছর থেকে এটা ভাল ভাবেই চলবে।” সঙ্গে দফতরের কর্তাদের তাঁর বার্তা, “কাজ ফেলে রাখবেন না। সময়ের কাজ সময়ে করুন।”
কেশপুরের আনন্দপুরের কৃষি খামারটি বেশ বড়। মূলত আলু বীজ নিয়েই এখানে গবেষণা হয়। বীজ তৈরিও হয়। খামারের আওতায় প্রায় ছ’শো একর জমি রয়েছে। তবে খামারটি পরিকাঠামোগত নানা সমস্যায় ধুঁকছে। কর্মী সঙ্কটে ভুগছে খামারটি। জমিও বেহাত হতে বসেছে। সমস্যার কথা মেনে কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আনন্দমোহন গড়াই কৃষিমন্ত্রীর কাছে লিখিত ভাবে কয়েকটি দাবি জানান। দাবিগুলো খতিয়ে দেখে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন পূর্ণেন্দুবাবু। আনন্দমোহনবাবুর কথায়, “এই খামারের হাল ফেরাতে গেলে কী কী করা দরকার, তাই লিখিত ভাবে মন্ত্রীকে জানিয়েছি। আমি নিশ্চিত, এলাকার উন্নয়ন ও কৃষকদের স্বার্থে বিষয়গুলো উনি বিবেচনা করে দেখবেন।”
শনিবার দুপুরে কৃষি খামার পরিদর্শনে আসেন কৃষিমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্ত প্রমুখ। খামারের কাজু বাদামের বাগান, আম বাগান, আলু বীজ তৈরির জমি ঘুরে দেখেন পূর্ণেন্দুবাবু। পরে মাছ চাষের পুকুরেও যান। এরই ফাঁকে দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আনন্দপুরের এই খামারের জমির কিছু সমস্যা রয়েছে। কর্তারা জানান, জমির সমস্যা মেটাতে গেলে ভূমি ও বন দফতরের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। বিষয়টি শোনা মাত্র বিধায়ক মৃগেনবাবুকে মন্ত্রী বলেন, “মৃগেনদা, ব্যাপারটা দেখে নেবেন তো। তারপর যা যা করণীয়, আমি করব।” সায় দেন বিধায়ক। যারা খামারের জমি দখল করে বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন তাদের প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, “আমরা কাউকে মেরেধরে তাড়ানোর পক্ষে নই। বিকল্প ব্যবস্থা করে উচ্ছেদ হতে পারে। অনেক দিন বাড়ি হয়ে থাকলে আলোচনায় সমস্যার সমাধান করতে হবে।’’