সরকার আশ্বাস দিয়েছিল অর্থ সাহায্যের। পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল, মেয়ে বোঝা নয়, তাকে লেখাপড়া শেখানো দরকার। তবু বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওদের। বয়স আঠারো পেরনোর আগেই।
প্রশাসনের হিসাব বলছে নয় নয় করে গত এক বছরে শুধুমাত্র ঘাটাল মহকুমায় ৫২টি নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। তাদের সকলেরই নাম লেখানো ছিল কন্যাশ্রী প্রকল্পে। তবে বেসরকারি মতে, এর দ্বিগুণের বেশি মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে নাবালিকা বয়সেই। আটকাতে পারেনি প্রশাসন। আবার যাদের বিয়ে রোখা গিয়েছিল তাদের অনেককে পরে লুকিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন নজিরও বিরল নয়।
কন্যাশ্রী একান্তই রাজ্যের নিজস্ব প্রকল্প, যা কেন্দ্রের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু তারপরেও একটি মহকুমায় এক বছরে এতগুলি বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রাশাসনের এক কর্তাই বলে ফেললেন, এতে প্রশ্ন উঠছে প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে। জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা অবশ্য বলেন, “প্রচার চলছে জোরকদমে। আরও বাড়ানো হবে।” ঘাটাল মহকুমায় চাইল্ড লাইনের এক কর্মী প্রদীপ শাসমল বলেন, “আমরা পুলিশ-প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েই প্রচার করি। কিন্তু নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা কমানো যায়নি। তবে হাল ছাড়িনি। প্রচার চলছেই।”