Advertisement
০৬ মে ২০২৪

মজুরি মেলেনি, বিক্ষোভ রেলের সাফাই কর্মীদের

টানা তিন মাস মেলেনি মজুরি। ঠিকাদারের কাছে বারবার আবেদন করেও কাজ হয়নি— এই অভিযোগে সোমবার খড়্গপুরে রেলের ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রেনের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা।

রেলের অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।

রেলের অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৫৯
Share: Save:

টানা তিন মাস মেলেনি মজুরি। ঠিকাদারের কাছে বারবার আবেদন করেও কাজ হয়নি— এই অভিযোগে সোমবার খড়্গপুরে রেলের ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ট্রেনের অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা। বোগদা থেকে মিছিল করে ডিআরএম অফিসের সামনে আসেন তাঁরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। ঠিকাদার সংস্থার দাবি, সময় মতো রেলের থেকে টাকা না পাওয়ায় বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি।

খড়্গপুর স্টেশন দিয়ে বহু দূরপাল্লার ট্রেন যাতায়াত করে। এই ট্রেনগুলি সাফসুতরো রাখতে একটি ঠিকাদার সংস্থার অধীনে ৬১ জন সাফাই কর্মী কাজ করেন। দিনে মজুরি ২৪৬ টাকা। দিনে ৩৫০ টাকা মজুরি বাধ্যতামূলক হলেও তা দেওয়া হয় না বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। তার উপর সেপ্টেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া বন্ধ হয়েছে। নভেম্বর পর্যন্ত বিনা মজুরিতেই শ্রমিকদের কাজ করতে হয় বলে অভিযোগ।

গত ২৮ নভেম্বর লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার। তারপর থেকে কাজ হারিয়ে দুর্দশায় পড়েছেন ওই ঠিকা কর্মীরা। সাফাই কর্মী রবীন্দ্র আচার্য বলেন, “কাজ করেও তিনমাসের মজুরির টাকা পাইনি। এক মাস ধরে কাজও নেই। রেল নিজস্ব সাফাইকর্মী দিয়ে কোনও রকমে ট্রেন পরিষ্কার করছে। ফলে ট্রেন অপরিচ্ছন্ন থাকায় যাত্রীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। রেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়ে ভেবে দেখুন।’’

‘রেলের কন্ট্রাক্টর লেবার ইউনিয়ন’-এর খড়্গপুরের সভাপতি অনিল দাসের নেতৃত্বে এ দিন বোগদা থেকে মিছিল হয়। অনিলবাবুর অভিযোগ, “শ্রমিকেরা এমনিতেই ৩৫০ টাকা বদলে ২৪৬ টাকা মজুরি পান। তারপরে তিনমাস কাজ করেও যদি কর্মীরা প্রাপ্য টাকা না পায় তার দায়িত্ব রেলকেই নিতে হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘অবিলম্বে রেল মজুরির বকেয়া টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। একইসঙ্গে, ওই সাফাইকর্মীদের কাজে ফেরানো হোক।”

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার মালিক এন পি সিংহ বলেন, “রেলের থেকে সময়মতো টাকা না পাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। নোট বাতিলেও সমস্যা হয়েছে। তাই কর্মীদের টাকা দেওয়া যায়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘দু’একদিনের মধ্যেই সাফাই কর্মীদের দু’মাসের বেতন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে। তারপরে ফের আরও একমাসের টাকা দিয়ে দেব।” খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “ওই ঠিকাদার সংস্থা এখনও বিল জমা না দেওয়ায় টাকা দেওয়া যায়নি। দ্রুত বিল দিতে বলা হয়েছে। সাফাই কর্মীদেরও বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’’ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হয়ে গেলেই সাফাই কর্মীরা কাজ ফিরে পাবেন বলেও জানান ডিআরএম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cleaning staff Rail Wages
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE