নিম্নচাপের একটানা বর্ষণে জেলা জুড়ে বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে বলে আশা করছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দফতর। জানা গিয়েছে, অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই জেলায় ১৫ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। নিম্নচাপের ফলে গত তিন দিনে এই জেলায় মোট ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তমলুক, কাঁথি ও এগরা মহকুমার যে ব্লকগুলিতে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল সেসব জায়গায় এবার ভাল বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই এলাকাগুলিতে ধান রোয়ার কাজেও বেশ গতি এসেছে। যদিও একটানা বৃষ্টিতে গাছের গোড়ায় জল জমে গিয়ে সবজি ও ফুল চাষ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা মৃণালকান্তি বেরা (শস্য সুরক্ষা) বলেন, ‘‘বৃষ্টির ঘাটতির ফলে এই জেলায় প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোয়ার কাজ শেষ করতে পারেননি কৃষকরা। তবে টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে ঘাটতি প্রায় মিটে গিয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে জেলার ৮৫ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে।"
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। বৃষ্টির ঘাটতির ফলে পাঁশকুড়া, এগরা ১ ও ২, পটাশপুর ১ ও ২, রামনগর ১ ও ২ ব্লক সহ জেলার ১০-১২টি ব্লকে আমন রোয়ার কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে কৃষকদের। কৃষি দফতরের এক জেলা আধিকারিক বলেন, বৃষ্টির ঘাটতি বা অতিবৃষ্টির আশংকা মাথায় রেখে খাদ্য সুরক্ষা মিশনের মাধ্যমে কৃষি দফতর জেলায় নতুন ধরণের প্রজাতির ধান চাষে চাষিদের উৎসাহিত করছে। নীচু এলাকাগুলিতে যেখানে বেশি বৃষ্টি হলে ধান ডুবে যায় সেখানে স্বর্ণ সাব ওয়ান এবং মাঝারি ও উঁচু এলাকার জন্য কম জলে চাষ করা যায় প্রতীক্ষা বা রাজেন্দ্র মাসুরি ধানের চারা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। উপকূল এলাকা হলদিয়া,নন্দীগ্রাম,সুতাহাটা,খেজুরি, ভগবানপুর,কাঁথি সহ ১০-১২টি ব্লকের নীচু এলাকার জন্য দেওয়া হয়েছে স্বর্ণ সাব ওয়ান
ধানের ভ্যারাইটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy