ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রচার করেও ঠেকানো যায়নি ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু। এ বার রাখি-বন্ধনের দিন রাখি পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে ম্যালেরিয়া রোধের বার্তা দেবেন আশাকর্মীরা।
সোমবার রাখির দিন জামবনির দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ব্লক সদর গিধনিতেও পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে রাখি বন্ধন কর্মসূচিতে উন্নয়ন ও শান্তির বার্তা দেওয়া হবে। এ বার রাখি বন্ধনের দিনে উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে পুলিশ-প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রাখি-বন্ধন কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল বলেন, “আশা কর্মীরা আক্রান্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের রাখি পরিয়ে ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতন করবেন। পঞ্চায়েত-প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় রাখি-বন্ধন অনুষ্ঠানে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হবে।”
চলতি বছরে ঝাড়গ্রামে জেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জামবনিতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। ম্যালেরিয়া ঠেকাতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জামবনি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে গিধনিতে সচেতনতামূলর ফুটবল প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। স্বয়ং জামবনির বিডিও মহম্মদ আলিম আনসারি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল-সহ পঞ্চায়েত-প্রশাসনের কর্মীরাও ফুটবল খেলেন।
জামবনির বিডিও মহম্মদ আলিম আনসারি বলেন, ফুটবল খেলায় ভাল সাড়া মিলেছে। সোমবার রাখি বন্ধনের দিনটিতেও এলাকাবাসীকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মালেরিয়া সম্পর্কেও সচেতন করা হবে। তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগেও আক্রান্ত এলাকাগুলিতে ট্যাবলো-গাড়িতে ম্যালেরিয়া বিষয়ক লোকসঙ্গীতের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সচেতন করছেন লোকশিল্পীরা। জামবনি-সহ বিভিন্ন ব্লকের হাতুড়েদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জ্বরের রোগী পেলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
তবে এতকিছু সচেতনতার মধ্যেও ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের চিন্তা বেড়েছে। গত মাসে শহরের তিন জন বাসিন্দা ম্যালরিয়ায় আক্রান্ত হন। এ বার শহরের উপকণ্ঠে রামচন্দ্রপুর, জোড়াখালি ও শালুকগেড়িয়ার মতো গ্রামগুলিতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর মধ্যে দু’জন ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া রামচন্দ্রপুর ও শালুকগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী মাঝি বলেন, “বিভিন্ন ভাবে সচেতনতা-প্রচার চলছে। প্রচারে সাড়া দিয়ে মানুষজনকেও আবশ্যিক করণীয় বিষয়গুলি পালন করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy