২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষে রেকর্ড পরিমাণ কর আদায় হয়েছে বলে দাবি করলেন খড়্গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রদীপবাবু জানান, গত অর্থবর্ষে প্রায় ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৭ হাজার ৫৫৯ টাকা পুরকর আদায় করেছে পুরসভা। ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষের তুলনায় এই কর আদায়ের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা বেশি। যে সব করদাতা কর বকেয়া রেখেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুরসভা।
আইআইটি ও রেলের থেকে কর বাবদ কোনও টাকা আদায় না হওয়ায় লোকসান হচ্ছে বলেও এ দিন দাবি করে পুরসভা। পুরপ্রধান প্রদীপবাবুর অভিযোগ, “ভ্যালুয়েশন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী আমরা রেল ও আইআইটি’র থেকে কর পেতে পারি। কিন্তু বারবার আবেদন জানালেও রেল ও আইআইটি কর প্রদান না করে অসহযোগিতা করছে।” শুধু রেল ও আইআইটি নয়, পুর এলাকায় থাকা কিছু ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাড়ি ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত বাড়ি থেকেও প্রায় ৫ কোটি টাকা কর বকেয়া রয়েছে বলে দাবি পুরসভার।
পুরপ্রধানের কথায়, “টাকা থাকা সত্ত্বেও শহরের একাংশ বাসিন্দা কর বকেয়া রেখেছেন। বকেয়া করের ৫ কোটি টাকা পেলে পুরসভা অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারত। বৈঠক করে বকেয়া কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করব। প্রয়োজনে যাঁরা কর দিচ্ছে না তাঁদের নাম দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্স টাঙানো হবে।”
পুরসভা সূত্রে দাবি, ২০১২-’১৩ থেকে ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কোনও বছরই পুরসভা আড়াই কোটি টাকার বেশি কর আদায় করতে পারেনি। এ বার রেকর্ড পরিমাণ কর আদায় হওয়ায় খুশি পুর কর্তৃপক্ষ। পুর কর বিষয়ক দফতরের পুর-পারিষদ পূজা নায়ডু বলেন, “দফতরের কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কড়া নেড়ে কর আদায় করেছে। অনেক পরিশ্রমের পর এই সাফল্য মিলেছে। শহরবাসীকেও এ ভাবে সহযোগিতার করার আবেদন জানাচ্ছি।”
দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উদয় চক্রবর্তী বলেন, “আমরা চলতি অর্থবর্ষের কর আদায় করতে সক্ষম হলেও বকেয়া কর বাবদ বেশি টাকা আদায় হয় না। এ বার আমরা সেই বকেয়া কর আদায়েই জোর দিয়েছিলাম।”
পুরপ্রধান বলেন, “আমাদের পুরসভায় কর আদায় ব্যবস্থা পুরোপুরি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। এর ফলে সহজেই জটিলতা কাটিয়ে সব কিছু নজরে রাখা সম্ভব হবে।” বকেয়া কর আদায়ে ধারাবাহিক অভিযান চলবে বলেও পুরসভা সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy