Advertisement
১৯ মে ২০২৪
আগে বকেয়া চান চালকল মালিকরা

পশ্চিমে ধান কেনা নিয়ে সংশয়

ধান কেনা নিয়ে সংশয় কাটল না। চালকল মালিকরা জানিয়ে দিলেন, বকেয়া না মেটালে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবেন না। ফলে, কবে থেকে ধান কেনা শুরু হবে তার দিনক্ষণ ঠিক করতে পারল না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১০
Share: Save:

ধান কেনা নিয়ে সংশয় কাটল না। চালকল মালিকরা জানিয়ে দিলেন, বকেয়া না মেটালে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবেন না। ফলে, কবে থেকে ধান কেনা শুরু হবে তার দিনক্ষণ ঠিক করতে পারল না পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায়ের সংক্ষিপ্ত জবাব, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কেনা শুরুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

ধান কেনায় দুর্নীতি রুখতে এ বার বেশ কয়েকটি নতুন পদ্ধতি নিয়েছে সরকার। ঠিক হয়েছে, এনইএফটি-র মাধ্যমে চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে ধানের দাম। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চেক দেওয়া হতে পারে। ধান কেনার জন্য প্রতিটি ব্লকে একটি করে স্থায়ী কেন্দ্র থাকবে। একজন চাষি দিনে ১৫ কুইন্ট্যাল ও বছরে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন। স্থায়ী কেন্দ্রে কুইন্টাল প্রতি দাম মিলবে ১৪৯০ টাকা। আর কৃষি সমবায় সমিতিতে কুইন্টাল প্রতি দাম ১৪৭০ টাকা। এবার সব সমবায়কে ধান কেনার অনুমতি দেওয়া হবে না। বিভিন্ন সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায়, বাছাই করা কয়েকটি সমিতিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ইসিএসসি, বেনফেড, কনফেডের মতো এজেন্সির মাধ্যমে সমিতিগুলি ধান কিনবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

ধান কিনে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা চালকলে। সেখান থেকে চাল নেয় খাদ্য দফতর। কিন্তু চালকল মালিকরাই সরকারের সঙ্গে ধান থেকে চাল তৈরির জন্য চুক্তি করতে রাজি হননি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৭৩টি চালকলের মধ্যে ৪৭টি চালকল চালু ছিল। তার মধ্যে আবার ১৪টি চালকলকে ‘ব্ল্যাক লিস্টেড’ করেছে প্রশাসন। সমবায় সমিতি থেকে ধান নেওয়া ও চাল দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ওই চালকলগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। চলতি বছরের নিয়ম অনুযায়ী, যে চালকল মালিক খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ডিস্ট্রিবিউটার, তাঁদের কাজে লাগানো হবে না। সেই মতো আরও ২টি চালকল বাদ পড়বে। বাকি ৩১টি চালকল ধান নিয়ে চাল করতে রাজি নয়। পশ্চিম মেদিনীপুর রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়ন্ত রায় জানান, সংগঠন রাজ্য জুড়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, চালকল মালিকদের সরকারের কাছে ২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া । আর ১ কুইন্ট্যাল ধান দিয়ে সরকার ৬৮ কিলোগ্রাম চাল নেয়। বাস্তবে ৬২-৬৩ কিলোগ্রামের বেশি চাল হয় না। ওই চাল নেওয়ার দাবিও তুলেছেন চালকল মালিকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rice mill owners
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE