শালবনিতে জিন্দলদের প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার কাজ পুরোদমে চলছে। কাজ খতিয়ে দেখতে বুধবার শালবনিতে আসেন সজ্জন জিন্দলের পুত্র পার্থ জিন্দল। ইতিমধ্যে কারখানার একটি ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে সিমেন্ট উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ দিন ওই ইউনিট ঘুরে দেখেন পার্থ জিন্দল। প্রকল্পের আধিকারিক-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ দিন কারখানায় পুজোপাঠেরও আয়োজন করা হয়। উৎপাদিত সিমেন্ট কারখানার থেকে বেরোয়ও।
মাস কয়েক পরে কারখানা পুরোদমে চালু হওয়ার কথা। জিন্দলদের শালবনি প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা অলোক ভট্টাচার্য মানছেন, “পার্থ জিন্দল এসেছিলেন। উনি কারখানা পরিদর্শন করেছেন।” গত বছরের গোড়ায় শালবনিতে এসে প্রস্তাবিত সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই প্রকল্পের কাজ এগোতে শুরু করে। শিল্পের জন্য শালবনিতে ৪,৩৩৪ একর জমি নিয়েছে জিন্দল গোষ্ঠী। এরমধ্যে ৩,০৩৫ একর জমি খাস। শুরুতে ঠিক ছিল এখানে ইস্পাত কারখানা হবে। পরে অবশ্য তা স্থগিত রাখা হয়। সিমেন্ট শিল্পের হাত ধরে ব্যবসা শুরুতে উদ্যোগী হন জিন্দলরা। এখন শালবনিতে ৮০০ কোটি টাকা লগ্নি করে সিমেন্ট কারখানা করা হচ্ছে। সিমেন্ট কারখানার পরে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও রং কারখানা গড়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।
কারখানা থেকে বছরে ২৪ লক্ষ টন সিমেন্ট উৎপাদন হওয়ার কথা। কারখানা চালু হলে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ২৫০ জনের। পরোক্ষ ৬০০ জনের। কারখানা পুরোদমে চালু হওয়ার পরে উত্পাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কাজও শুরু হওয়ার কথা। বছর কয়েক আগে জিন্দল প্রকল্প ঘিরে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল শালবনিতে। আশায় বুক বেঁধেছিল শয়ে শয়ে বেকার যুবক-যুবতী। বড় শিল্প স্থাপনের জন্যই জিন্দলদের পশ্চিম মেদিনীপুরে এনেছিল রাজ্য সরকার। কয়েকটি এলাকার জমি দেখার পর শালবনির জমি জিন্দলদের পছন্দ হয়। সেটা ২০০৭ সাল। প্রকল্পের জমিদাতা সংগঠনের নেতা পরিষ্কার মাহাতো বলেন, “একটি ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে সিমেন্ট উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। আগে ইস্পাত হওয়ার কথা ছিল। এখন সিমেন্ট হচ্ছে। আমরা চাই, আপাতত সিমেন্ট কারখানাটা পুরোদমে চালু হোক। জমিদাতা পরিবারের একজনকে প্রকল্পে কাজ দেওয়া হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy