ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার প্রচার। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
সরকার চাইছে মেলা হোক। সেই মতো ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার জোর প্রস্তুতি চলছে। সচেতন নাগরিকদের একাংশ অবশ্য করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই মেলা বন্ধ করার আবেদন জমা পড়েছে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার সূত্রেই করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল ঘাটাল-দাসপুরে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও রোজই নতুন নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে মহকুমায়। এই অবস্থায় বড় মেলা ও উৎসব হলে করোনা সংক্রমণ ভয়ানক আকার নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই মেলা বন্ধের আর্জি জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ঘাটাল মেলা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আবেদন এসেছে। আবেদন খতিয়ে দেখা হবে।”
ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার সঙ্গে ঘাটালবাসীর আবেগ জড়িত। বছরভর এই মেলার জন্য অপেক্ষা করেন এলাকার মানুষ। প্রতি বছর মেলায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। রাতের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভিড় আরও বাড়ে। এ বারও দশ দিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হচ্ছে আগামী ১৬ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে হবে ওই মেলা। থাকবে বাণিজ্যিক স্টল। সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও হবে। তবে এ বার প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে বেশ কিছু কাটছাঁট করা হবে। ক’দিন মাইকে হেঁকে মেলার প্রচারও শুরু হয়েছে।
করোনা-কালে এমন মেলা অবশ্য চাইছেন না ঘাটালের অনেকেই। অনেকে আবার চাইছেন, পরিসর কমিয়ে ছোট হোক মেলা। মেলা বন্ধের আবেদনকারীদের অন্যতম দিবাকর শী বলেন, “করোনা এখনও থিতিয়ে যায়নি। আসেনি টিকা। তার মধ্যে মেলা মানেই একসঙ্গে বহু মানুষের উপস্থিতি। তাই এ বছর মেলা বন্ধ থাকলে ভাল হয়।” মেলা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা তথা ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই পাল্টা বলছেন, “মেলা হবেই। তবে মেলা প্রাঙ্গণে যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। কারণ, মেলার মূল লক্ষ্য আনন্দ। মেলা বন্ধের জন্য আবেদন কেউ করতেই পারেন। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy