Advertisement
১৮ মে ২০২৪

ক্যানসার আক্রান্ত বন্ধুর চিকিৎসায় সহপাঠীরা

ভিন্‌ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে কেমোথেরাপি চলছে হলদিয়ার চকদ্বীপা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সৌম্যদীপ গায়েনের। সহপাঠীর পাশে দাঁড়াতে টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্কুলের পড়ুয়া মানিক, রাকিবুল, শ্যামল, কাকলিরা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌম্যদীপ। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌম্যদীপ। নিজস্ব চিত্র

আরিফ ইকবাল খান
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৪০
Share: Save:

হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এক সহপাঠী। তার জীবন বাঁচাতে অঙ্গীকার করল পড়ুয়ারা।

ভিন্‌ রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে কেমোথেরাপি চলছে হলদিয়ার চকদ্বীপা হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সৌম্যদীপ গায়েনের। সহপাঠীর পাশে দাঁড়াতে টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্কুলের পড়ুয়া মানিক, রাকিবুল, শ্যামল, কাকলিরা।

অন্ত্রে ঘা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যায় সৌম্যদীপ। সেখানে চিকিৎসকরা তার পরিবারকে জানান, ক্যানসার হয়েছে সৌম্যদীপের। শুরু হয় কোলোন ক্যানসারের চিকিৎসা। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দু’টি কেমোথেরাপি নেওয়া হয়ে গিয়েছে সৌম্যদীপের।

শনিবার স্কুলে আসেন সৌম্যদীপের বাবা নির্মল গায়েন। একটি বেসরকারি সংস্থায় অস্থায়ী চাকরি করেন তিনি। তাঁর উপস্থিতিতেই স্কুলের প্রার্থনার সময়ে প্রধান শিক্ষক বাসুদেব মণ্ডল সাহায্যের আবেদন করেন পড়ুয়াদের কাছে। সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় সকলেই।

বাসুদেববাবু বলেন, “সৌম্যদীপের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই সকলে মিলে ওর চিকিৎসার জন্য ঝাঁপিয়েছি। ইতিমধ্যেই চিকিৎসায় প্রচুর টাকা খরচ হয়েছে।” নির্মলবাবু বলেন, “এত টাকা কী ভাবে পাব, ভেবে পাচ্ছি না। স্কুলের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে জেনে ভরসা পাচ্ছি।”

এর আগে স্কুলের আর এক ছাত্র অর্ণব জানা আক্রান্ত হয় ক্যানসারে। সেই সময়েও অনেকের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরাও পথে নেমে চাঁদা তোলে অর্ণবের জন্যে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাঁচানো যায়নি অর্ণবকে।

তবে এ বার হেরে না গিয়ে লড়াইয়ের শেষ দেখতে চায় সৌম্যদীপের সহপাঠীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE