প্রতীকী ছবি।
শিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সব স্কুলে কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। মাস দু’য়েক আগে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের সব স্কুলে এখনও এই কমিটি গড়ে ওঠেনি। শিকেয় শিশুদের নিরাপত্তা।
সে কথা স্বীকার করছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান নারায়ণ সাঁতরা। তিনি বলছেন, “বেশ কিছু স্কুলে ওই কমিটি হয়নি জানি। আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই যাতে কমিটি হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হবে।”
মাস খানেক আগে কলকাতার জিডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনে চার বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে। এর পরেই স্কুলগুলোয় নিরাপত্তা বাড়ানোর নতুন নির্দেশিকা জারি হয়। এই ঘটনার অনেক আগেই অবশ্য শিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সব স্কুলে কমিটি গড়া নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা জারি করেছে।
স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, প্রাথমিক স্কুলে পাঁচ জনের কমিটি হবে। উচ্চ বিদ্যালয়ে ছ’জনের। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকই হবেন কমিটির চেয়ারম্যান। এই কমিটিতে যেমন অভিভাবকেরা থাকবেন, তেমনই পড়ুয়ারাও থাকবে। নিরাপত্তা-সহ আঠারোটি দিক খতিয়ে দেখবে কমিটি। প্রতি মাসে কমিটির বৈঠক হবে।
অনেক বেসরকারি স্কুলে নজরদারি ক্যামেরা থেকে রক্ষী, বাইরের লোকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অধিকাংশ সরকারি স্কুলে এ সবের কিছুই নেই। অভিভাবকদের প্রশ্ন, তা হলে সরকারি স্কুলে কি এ সবের দরকার নেই? জেলার এক শিক্ষাকর্তাও মানছেন, “সরকারি, বেসরকারি সব স্কুলের ছেলেমেয়েদেরই নিরাপত্তা প্রয়োজন। সেই জন্যই তো ওই নির্দেশিকা।”
পরিসংখ্যান বলছে, এ দেশে আঠারো বছর হওয়ার আগে ছ’জন ছেলের মধ্যে এক জন এবং চার জন মেয়ের মধ্যে এক জন শারীরিক হেনস্থার শিকার হয়। এরই সঙ্গে মানসিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে। তাই পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বাড়াতে প্রতিটি স্কুলকে ‘সেফটি অ্যান্ড সিকিওরিটি মনিটরিং কমিটি’ গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্কুলশিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy