প্রধান-সহ পাঁচ জন দলবদল করায় ফের একটি বাম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। রবিবার খড়্গপুর-১ ব্লকের অর্জুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বামেদের।
এ দিন অর্জুনির চড়কাবনি হাইস্কুল ময়দানে নবনির্বাচিত বিধায়ক দীনেন রায়ের সংবর্ধনা সভার আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে অর্জুনি পঞ্চায়েতের প্রধান আদল নায়েক-সহ সিপিএমের তিন জন তৃণমূলে যোগ দেন। সনৎ মাহাত-সহ দু’জন পঞ্চায়েতের বাম সমর্থিত নির্দল সদস্যও শাসকদলে যোগ দেন।
দিন কয়েক আগেই খড়্গপুরের সিপিএম পরিচালিত বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। অনাস্থা ভোটে জিতে পঞ্চায়েত দখল করে শাসকদল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ভোটে ১৭টি আসন বিশিষ্ট ওই পঞ্চায়েতে ৮টি আসন দখল করে বামেরায় তৃণমূলের দখলে যায় ৭টি আসন। এ ছাড়াও দু’জন নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়। বামেরা দুই নির্দল সদস্যের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই পঞ্চায়েতের বাম সদস্যদের উপর দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এ দিন পাঁচ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েতে বামেদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১২।
দলের ব্লক সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন দেখে দীর্ঘদিন ওই পাঁচ জন সদস্য আমাদের দলে আসতে চাইছিল। আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধান-সহ তাঁদের দলে গ্রহণ করায় পঞ্চায়েতটি দলের দখলে এল।” এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আদল নায়েক-সহ পাঁচ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হওয়া প্রসঙ্গে সিপিএমের খড়্গপুর-১ জোনাল সম্পাদক কমল পলমল বলেন, “কীসের প্রলোভনে বা ধমকে ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে গিয়েছেন তা আমার জানা নেই। আমরা কাউকে আটকানোর চেষ্টাও করছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy