কর্মী সঙ্কট কাটাতে এ বার শিক্ষানবিশদের কাজে লাগাতে চলেছে কৃষি দফতর।
দীর্ঘদিন ধরেই জেলায় জেলায় কৃষি প্রযুক্তি সহায়কের অভাব। হিসাব মতো প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একজন করে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক থাকার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ পথই থাকে শূন্য। তাই হাসপাতাল বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো শিক্ষানবিশ নিয়োগ করে সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কৃষি আধিকারিকেরাও মনে করছেন উচ্চ মাধ্যমিকে বৃত্তিমূলক শিক্ষায় কৃষি নিয়ে পাশ করা ছাত্রছাত্রীরা এ ভাবে সরসরি কাজ করলে সুফল মিলবে। আগামী বছরের গোড়াতেই শিক্ষানবিশরা কাজে যোগ দেবেন। প্রথমে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনায় পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে কাজ শুরু করছে রাজ্য সরকার। ‘এগ্রিকালচার অ্যাপ্রেন্টিস’ নিয়োগের জন্য মৃত্তি মূলক স্কুল থেকে ১২৯ জন পড়ুয়াকে বাছাই করা হচ্ছে বলে খবর।
পূর্ব মেদিনীপুরের সহ-কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ প্রকল্পে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি ব্লকে দু’জন করে শিক্ষানবিশ নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরা ব্লক কৃষি আধিকারিকের অধীনে এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (আত্মা)-এর মাধ্যমে এক বছর প্রশিক্ষণ নেবেন। এই সময়ে প্রতি মাসে ২ হাজার ৭৫৮ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। ভাতার টাকা আসবে ‘আত্মা’ প্রকল্প থেকেই। প্রশিক্ষণ শেষে কেন্দ্রীয় সরকার একটি শংসাপত্র দেবে।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, শিক্ষানবিশ বাছাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন ‘বোর্ড অফ প্র্যাক্টিক্যাল ট্রেনিং’ (বিওপিটি) নামে স্বশাসিত সংস্থা। চলতি বছর নভেম্বরেই তিন জেলার বৃত্তিমূলক স্কুলগুলিতে চিঠি পাঠিয়ে বিওপিটি-তে আবেদন করতে বলে কৃষি দফতর। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৯১, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৩০ এবং উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ৮ জনকে বাছাই করা হয়েছে।
জেলার এক কৃষি আধিকারিক জানান, কৃষিতে জোর দিতে সরকার এ বার পঞ্চায়েত এলাকায় দক্ষ কৃষিকর্মী তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। শিক্ষানবিশ নিয়োগের মাধ্যমে কৃষি দফতরে কর্মী সঙ্কট মোকাবিলা যেমন হবে, তেমনই হাতে কলমে সরকারি কাজ করে এক বছর প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy