হৃষ্টপুষ্ট বাছুর। ছুটে বেড়াত তিরবেগে। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়ল। দুশ্চিন্তার শেষ নেই। পাশের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ভুগছে তাঁদের বাড়ির বাছুরও। একের পর এক বাছুর রোগে ভুগতে শুরু করেছে। তার মধ্যে মৃত্যুও হল একটি বাছুরের।
এমন ঘটনা ঘটায় গড়বেতা-১ ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা হাজির হন পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে। সমস্যার কথা জানান প্রাণী ও মৎস্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জয় রায়কে। সঙ্গে সঙ্গে জয়বাবু প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের ব্লক আধিকারিক শুভেন্দু প্রধানকে বিষয়টি জানান। চিকিৎসক দল এলাকায় গিয়ে দেখেন, দু’বছরের কম বয়সের বাছুরই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
খতিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন, বাছুরগুলি সন্নিপাত (ব্ল্যাক কোয়ার্টার) রোগে আক্রান্ত। তা দেখার পরেই পুরো গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। শুভেন্দুবাবু বলেন, “এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ছোট বাছুর আক্রান্ত হয়।” জয়বাবু বলেন, “যাতে নতুন করে আর কোনও বাছুরের মধ্যে সংক্রমণ না ঘটে সে জন্য এলাকায় দেড় হাজার ভ্যাকসিন নিয়ে পাঠানো হয়েছে। এলাকার সমস্ত বাছুরের টিকাকরণ করা হবে।”
বর্ষাকালে সন্নিপাতের পাশাপাশি ‘ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিস’ (এফএমডি) ও হয়। এই রোগে এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে গরুর পায়ে, মুখে ঘা হয়। সেই সময় বলদ কাজ করতে পারে না। ফলে চাষেও ব্যাঘাত ঘটে। তাই বর্ষার আগে এই দুই ধরনের টিকাকরণ করা উচিত। প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর তপনকুমার সাধুখাঁ বলেন, “আমরা জেলা জুড়ে বর্ষার আগেই টিকাকরণ কর্মসূচি করি। তা সত্ত্বেও কোনও এলাকায় যদি এই ধরনের রোগ দেখা যায়, তাঁরা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পদক্ষেপ করা হবে।”
চারা বিতরণ। চাষের পাশাপাশি ফলের গাছ লাগানোর উপরেও জোর দিল কৃষি দফতর। সেই লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের ভূমি সংরক্ষণ দফতর পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় সবুজ বিপ্লব প্রকল্পের আওতায় ব্লকে ব্লকে আম, পেয়ারা, লেবু, পেঁপে, নারকেল প্রভৃতি ফলের চারা বিতরণ শুরু করল। মঙ্গলবার শালবনি ব্লকের ৫২টি মৌজার প্রায় ৪০০ জনকে চাষিকে ফলের চারা বিতরণ করা হল। প্রত্যেক চাষিকে ৪-৫টি করে ফলের চারা দেওয়া হয়েছে। জৈব চাষে উৎসাহ দিতে চাষিদের কেঁচো সারও বিতরণ করা হয়। জমির পরিমাণ অনুযায়ী ২-৪ কিলোগ্রাম পর্যন্ত সার দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy