স্কুলবাড়ির দশা এমনই। নিজস্ব চিত্র
আকাশে মেঘ জমলেই প্রমাদ গোনে পটাশপুর -১ ব্লকের অমরপুর হীরালাল বিদ্যানিকেতনের পড়ুয়াদের। কারণ, বৃষ্টি হলেই তো ক্লাস রুমে মাথার উপরে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে তাদের!
স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে ওই স্কুল চত্বরে সর্বশিক্ষা অভিযানের একটি ভবন তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই ভবনে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস করা যায় না। তার জন্য ভরসা পুরনো মাটির দেওয়ালের ক্লাস ঘর। একদিকে টিনের ছাউনি, অন্য দিকে টালির ছাউনি— আর সেই ছাউনি দিয়ে বর্ষা কালে ক্লাস ঘরে ফোটা ফোঁটা করে করে পড়ে জল।
স্কুল সূত্রের খবর, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬০ জন পড়ুয়া রয়েছে। ১৯৯২ সালে স্কুলটি জুনিয়ার থেকে মাধ্যমিক স্কুলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু স্কুলের ক্লাস ঘরের পরিবর্তন হয়নি। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের কথায়, ‘‘বৃষ্টি হলে আমাদের পড়াশুনা বন্ধ থাকে। কারণ, ঘরের মধ্যে জল পড়ে। তখন আমরা ক্লাসের মধ্যে এক জায়গায় জড়ো হয়ে বসে থাকি।’’
স্কুলের হতশ্রী চেহারা দেখে বিরক্ত বাসিন্দারাও। অমরপুরের বাসিন্দা দীপক কুমার দাস এবং রবীন্দ্র নাথ দাস বলেন, ‘‘ক্লাস রুমের ভিতরে জল পড়তে পড়তে দেওয়ালের মাটি খসে পড়ছে। স্যাঁতসেতে অবস্থা। তার মধ্যেই চলে পঠনপাঠন। ওখানে পড়াশুনার পরিবেশ নেই।’’
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমানবিহারী পইড়া বলেন, “চার বছর আগে স্কুলের ভবনের জন্য জেলার সর্বশিক্ষা দফতর এবং জেলার পরিষদের সভাধিপতিকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আজ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি স্কুলের জন্য। প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস করতে হয়। তার মধ্যেও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করে। আমাদের আবেদন স্কুলের নতুন ভবনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুক স্কুল শিক্ষা দফতর।’’
এ বিষয়ে পটাশপুর ১ ব্লকের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আশিসকুমার সিংহ বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে স্কুলের তরফে নতুন বিল্ডিএর জন্য আবেদন এসেছিল। আমরা সেই আবেদন জেলায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন বড় অর্থের অনুদানের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে স্কুলের ভবিষৎ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy