Advertisement
E-Paper

পুকুরে কচুরিপানা, সংস্কারের উদ্যোগ

পাড়ার ছেলেদের খেলার জন্য পার্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। কিন্তু পার্কের পাশের পুকুর কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পার্কের সরঞ্জাম যথাযথ থাকলেও এর ফলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার সৌন্দর্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৪
পার্ক লাগোয়া এই পুকুরই সংস্কার হবে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

পার্ক লাগোয়া এই পুকুরই সংস্কার হবে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

পাড়ার ছেলেদের খেলার জন্য পার্ক তৈরি হয়েছিল আগেই। কিন্তু পার্কের পাশের পুকুর কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। পার্কের সরঞ্জাম যথাযথ থাকলেও এর ফলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার সৌন্দর্য।

মেদিনীপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আশুতোষনগরে সতীনাথ শিশু উদ্যানের পাশের এই পুকুর সংস্কার ও তাকে ঘিরে সৌন্দর্যায়নের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। পুকুরে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবিও উঠেছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে পুরসভার পক্ষে তো এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ) এ ব্যাপারে অর্থ সাহায্য করবে বলেছে।”

আশুতোষনগর ক্রমেই জমজমাট হচ্ছে। মাথা তুলছে একের পর এক বহুতল। এলাকাটি শহরের এক প্রান্তে হওয়া সত্ত্বেও সেখানে এ ভাবে বসতি বাড়ার কারণটা কী? স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, যাঁরা শালবনি, গড়বেতা, লালগড় এলাকায় চাকরি করেন, অথচ মেদিনীপুর শহরে থাকতে চান তাঁদের জন্য এলাকাটি ভীষণ উপযুক্ত। শহরের যানজট এড়িয়ে কুইকোটা থেকে সহজে বাস ধরে বা নিজের গাড়িতে কর্মস্থলে পৌঁছে যাওয়া যায়। তা ছাড়া, এলাকাটিতে এখনও গ্রামীণ সংস্কৃতির ছোঁয়া রয়েছে। আবাসনে থাকলেও প্রতিবেশী পরিবারগুলোর মধ্যে সখ্য নজরকাড়া। এ ছাড়া কুইকোটায় বাজার, গির্জার কাছে বাচ্চাদের স্কুল, অটো-টোটোর সুবিধেও রয়েছে। সব মিলিয়েই বসতি বাড়ছে আশুতোষনগরে।

জনবসতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার উন্নয়নে নানা দাবিও সামনে আসছে। সেই দাবি মেনেই পার্ক তৈরি করেছিলেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এ বার পুকুরকে ঢেলে সাজার পরিকল্পনা নিয়েছেন। কাউন্সিলর নির্মাল্যবাবু জানিয়েছেন, পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নে ৪২ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে এমকেডিএ। তাতে পুকুরের চারদিক বাঁধানো হবে, তৈরি করা হবে যাতায়াতের পথ যাতে এলাকার মানুষ প্রাতর্ভ্রমণ বা সান্ধ্যভ্রমণ করতে পারেন। বোটিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে আলো। নির্মল্যবাবু বলেন, “কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’’

Water hyacinth
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy