চলছে পরীক্ষার প্রস্তুতি। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।
আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (নতুন সিলেবাস)। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষা। পরীক্ষা-পর্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে জেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে গোপন ক্যামেরায় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, “সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা- পর্ব সম্পন্ন করতে সব রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। আগের থেকে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এরফলে পরীক্ষার্থীদের সুবিধে হবে।”
গত বছরের থেকে এ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। বাড়ল পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যাও। গত বছর জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ৩৯৫। এ বার সেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৮০৪। গত বছর জেলায় পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৯৪টি। এ বার তা বেড়ে হয়েছে ৯৯টি।
গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল ২৬ হাজার ৫৮৪। ছাত্রী সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৮১১। এ বার সেখানে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪৮। ছাত্রী ২৪ হাজার ৪৫৬ জন। অর্থাত্ গত বছরের তুলনায় এ বার ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৬৪৫ জন। উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গত বারের থেকে কমেছে ২৩৬ জন। মাধ্যমিকের পর জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক। এই পরীক্ষাই ভবিষ্যত্ জীবনের দিশার চাবিকাঠি। স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষার সময় কিছুটা চিন্তা থাকে পরীক্ষার্থীদের। উদ্বেগে থাকেন অভিভাবকেরাও। পরীক্ষা- পর্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যেই জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে যাতে পানীয় জল, শৌচালয় প্রভৃতির সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকে, সময় মতো পুলিশ মোতায়েন করা হয়, এ সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি, পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের কাছেও গুরুত্ব সহকারে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করার আবেদন রাখা হয়।
কন্ট্রোল রুম
জেলাশাসকের দফতর: ০৩২২২ ২৭৫-৫৭১
জেলা পুলিশের দফতর: ০৩২২২ ২৬৭-৯৮৩
জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর: ০৩২২২ ২৭৫-৫৯২
পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগও নতুন নয়। ফি বছরই এমন অভিযোগ ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে বাইরে থেকেও নকল সরবরাহ করা হয়। নিরাপত্তার ফাঁক গলে কেউ কেউ পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করে। এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে এ বার তত্পর হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদ কর্তৃপক্ষের দাবি, এ বার অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। গত বছর যে সব কেন্দ্রে সামান্য উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, সেই সব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। ঠিক কোন কোন কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে, তাও পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন সিলেবাসের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪২ হাজার ৯৮। এরমধ্যে ছাত্র ২১ হাজার ৪৬৪, ছাত্রী ২০ হাজার ৬৩৪। পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭০৬। এরমধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৮৮৪। ছাত্রী ৩ হাজার ৮২২। গত বছর ৯৪টি পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে মূল কেন্দ্র ছিল ৫২টি। এ বার ৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে মূল কেন্দ্র ৫৪টি। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদবাবু বলেন, “পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও রকম সমস্যার মধ্যে না পড়ে, তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাস পরিবহণকে পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। আশা করি, সুষ্ঠু ভাবেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা- পর্ব সম্পন্ন হবে।” তাঁর কথায়, “বিশেষ নজরদারির জন্য জেলার কিছু কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে গোপন ক্যামেরায় ভিডিওগ্রাফি করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy