ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর উপরে ২৩ অগস্ট, শনিবার পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। সরকার অনুমতি দিয়েছে, রাজ্য থেকে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার টন পর্যন্ত আলু ওড়িশায় এবং পাঁচশো টন আলু ঝাড়খণ্ডে রফতানি করা যাবে। চলছে রফতানিও। কিন্তু অনুমতির অতিরিক্ত আলু ইতিমধ্যেই রফতানির উদ্দেশে হিমঘর থেকে বের হয়েছে বলে ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে খবর। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, অতিরিক্তি আলু ফের রাস্তাতেই পচবে। এবং তাতে জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেই সম্ভাবনা আঁচ করে হস্পতিবার বৈঠক করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে মোট ন’হাজার মেট্রিক টন আলু রফতানির অনুমতি রয়েছে। অর্থাত্ প্রায় সাড়ে পাঁচশো লরি। অথচ আলু ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে প্রায় এক হাজার লরি আলু হিমঘরগুলি থেকে বের হয়েছে। এর ফলেই দু’দিন পর থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরেণ মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানাব।”
ওড়িশায় আলু রফতানি হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা-দাঁতনের উপর দিয়ে। পরিস্থিতি দেখে আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, বরেণ মণ্ডল প্রমুখ। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি আলু ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
কিন্তু, কেন অতিরিক্তি আলু বের করলেন ব্যবসায়ীরা? বরেণবাবুর যুক্তি, “হিমঘরে যত আলু মজুত রয়েছে ভিন্ রাজ্যে রফতানির পরেও তা রাজ্যের জন্য উদবৃত্ত থাকবে।” তাঁর কথায়, আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছি সমস্যার সমাধানে একটা দিন সময় দিতে। কেন এই বৈঠক? জেলা পুলিশ সুপার ভারতীদেবীর জবাব, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন বৈঠক হয়েছে।”জেলা প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, চলতি মাসের গোড়ায় ওড়িশাগামী শতাধিক আলু বোঝাই লরি আটকে দেওয়া হয়েছিল। পরে আলু রফতানির দাবিতে আন্দোলনে নামেন আলু ব্যবসায়ীরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের চাপে ভিন্ রাজ্যে আলু পাঠানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে রাজ্য।
আতঙ্ক মেট্রোয়। বৃহস্পতিবার মেট্রোর একটি কামরার সিলিং ফ্যান থেকে আগুন ঝরতে থাকায় ফের আতঙ্ক তৈরি হয় যাত্রী-ঠাসা কামরায়। ফলে ফের চিত্কার, চেঁচামেচি, হইচই। অফিস-ফেরতা যাত্রীরা ময়দান-সহ বেশ কয়েকটি স্টেশনে আটকে থাকেন বহুক্ষণ। যাত্রীদের বক্তব্য, এ দিনের ঘটনা আবারও বুঝিয়ে দিল, সেই ট্র্যাডিশন চলছেই। মেট্রো সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কবি সুভাষমুখী একটি ট্রেন ময়দান স্টেশনে ঢুকছিল। তখনই যাত্রীভর্তি কামরার সিলিং ফ্যান থেকে আগুন ঝরতে শুরু করে। চিত্কার জুড়ে দেন যাত্রীরা। অনেকে ওই কামরা থেকে প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন। খবর যায় মেট্রো কর্মীদের কাছে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এনে আগুন নেভানো হয়। বন্ধ করে দেওয়া ফ্যান। পরে খালি করে দেওয়া হয় মেট্রোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy