Advertisement
০৩ মে ২০২৪

খড়্গপুরে বৈঠক, বিজেপির নজরে ৬ পুরসভার ভোট

আগামী বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি পুরসভায় ভোট। এর মধ্যে রয়েছে খড়্গপুর, যেখানে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে লিড পেয়েছে বিজেপি। পুরভোটেও সাফল্য ধরে রাখতে এখন থেকেই ঘর গোছানো শুরু করল বিজেপি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরে দলের নেতারা এক বৈঠক করেন। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় সকালে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনিও ওই বৈঠকে যোগ দেন। শহরে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়।

মেদিনীপুরের ধর্মায় বিজেপির বিজয় মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুরের ধর্মায় বিজেপির বিজয় মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০১:৪১
Share: Save:

আগামী বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি পুরসভায় ভোট। এর মধ্যে রয়েছে খড়্গপুর, যেখানে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে লিড পেয়েছে বিজেপি। পুরভোটেও সাফল্য ধরে রাখতে এখন থেকেই ঘর গোছানো শুরু করল বিজেপি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরে দলের নেতারা এক বৈঠক করেন। বিজেপির জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় সকালে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনিও ওই বৈঠকে যোগ দেন। শহরে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। তুষারবাবু বলেন, “আগামী বছর জেলার ৬টি পুরসভায় ভোট। পুরভোটে সবক’টি আসনেই আমাদের প্রার্থী থাকবে। এ জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।” এ দিন খড়্গপুরের পর আগামীতে অন্য পুর- এলাকাতেও বৈঠক হবে বলে জানান তিনি।

আগামী বছর খড়্গপুর, খড়ার, রামজীবনপুর, চন্দ্রকোনা, ক্ষীরপাই এবং ঘাটাল পুরসভায় ভোট। খড়্গপুর বাদে বাকি ৫টি পুরসভাই ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত। এ বার লোকসভা ভোটে খড়্গপুর শহরে বিজেপি দুর্দান্ত ফল করেছে। কংগ্রেসের ‘দুর্গ’ বলে রেলশহরের সব হিসেব মোদী-ঝড়ে ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। খড়্গপুর সদর বিধানসভায় ৫১ হাজার ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এখানে তৃণমূল ৪০ হাজার এবং কংগ্রেস ২১ হাজার ভোট পেয়েছে। এই ফলের পর বহু ভাষাভাষির শহর খড়্গপুরের পুরসভা দখলকে পাখির চোখ করছে বিজেপি। ২০১০ সালের পুরভোটে জিতে খড়্গপুরে পুরবোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। অনাস্থা ভোটাভুটির পর এখন অবশ্য ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। খড়্গপুরের ওয়ার্ড মোট ৩৫টি।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার বৈঠকে পুরভোট প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, প্রয়োজনে আগামী দিনে ওয়ার্ডস্তরে সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস করা হবে। জেলা বিজেপির এক নেতার মতে, লোকসভা ভোটের জনসমর্থনকে সাংগঠনিক খাঁচায় আনা জরুরি। না-হলে পুরভোটে সাফল্য মিলবে না। এ জন্য ‘নতুন মুখ’ আনার চেষ্টা চলছে। যাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, যাঁরা এলাকায় ‘কাছের লোক, কাজের লোক’ বলে পরিচিত।”

জেলা জুড়েই এ বার ভোট বেড়েছে বিজেপির। মেদিনীপুর কেন্দ্রে ১৪ শতাংশ, ঘাটালে ৭ শতাংশ এবং ঝাড়গ্রামে ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। ঘাটাল মহকুমায় তুলনায় সমর্থন কম থাকলেও পুরভোটে সাফল্য পাওয়া নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব আশাবাদী। আগামী বছর ঘাটাল মহকুমার যে ৫টি পুরসভায় ভোট, তার মধ্যে রামজীবনপুর, ঘাটালে বিজেপির কিছুটা জমি রয়েছে। রামজীবনপুরে দলের কাউন্সিলরও আছে। আপাতত, লোকসভার ফলাফল পর্যালোচনা করে ওই সব শহর এলাকায় বুথভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার উপরই জোর দিচ্ছেন নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে বিজেপির ‘পাখির চোখ’ এখন আগামী বছর জেলার ৬টি পুরসভার ভোট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

municipality vote kharagpur bjp
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE