বাপি মাহাতো। নিজস্ব চিত্র।
সিআইডি যথাযময়ে চার্জশিট দিতে না পারায় অন্য একটি ইউএপিএ মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন জ্ঞানেশ্বরী-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বর্তমানে জেলবন্দি জনগণের কমিটির নেতা বাপি মাহাতো। ২০০৯ সালে বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেসে হামলায় ইউএপিএ মামলা দায়ের হয়েছিল। সোমবার ঝাড়গ্রামের প্রথম এসিজেএম আদালতের বিচারক কৃষ্ণমুরারিপ্রসাদ গুপ্ত মামলায় বাপির জামিন মঞ্জুর করেন।
অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিংহ জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (গ্রেফতার হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে) সিআইডি ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে না পারায় বাপির জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ইতিপূর্বে একই কারণে রাজধানী-মামলায় ধৃত ৬ জন জামিন পেয়েছেন। জ্ঞানেশ্বরী-মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে। ইউএপিএ ধারায় দায়ের হওয়া এই মামলায় বাপি-সহ ২২ জন বিচারাধীন জেলবন্দি রয়েছে। ফলে, আপাতত মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বাপির।
২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর বিকেলে বাঁশতলার কাছে দিল্লিগামী ভুবনেশ্বর-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর মুক্তির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে দখল নিয়েছিল সশস্ত্র মাওবাদীরা। ওই দিন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইও হয়েছিল। পরে যাত্রী-সহ ট্রেনটিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রামে নিয়ে আসে যৌথ বাহিনী। রাষ্ট্রদ্রোহ, খুনের চেষ্টা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়। তদন্তভার নেয় সিআইডি। পরে রাজধানী-কাণ্ডে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করা হয়। বাপির আইনজীবী কৌশিকবাবু এ দিন আদালতে জানান, জঙ্গলমহলে ইউএপিএ ধারায় দায়ের হওয়া দশটি মামলার মধ্যে সাতটিতে সময়মতো পুলিশ চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি। শুধু জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতা, শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা ও ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে নাশকতা এই তিনটি মামলায় সময়মতো চার্জশিট দাখিল হয়েছে। ইউএপি ধারার গুরুত্ব না বুঝে তা প্রয়োগের জন্যই এমনটা হয়েছে বলে এই আইনজীবীর মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy