Advertisement
০৫ মে ২০২৪

জমি বিবাদ, বিজেপি-তৃণমূল হাতাহাতি

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে সদ্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধল তৃণমূল কর্মীদের। দুই বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বারিদা গ্রামে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৫
Share: Save:

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে সদ্য সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধল তৃণমূল কর্মীদের। দুই বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বারিদা গ্রামে। বিজেপির দু’জন ও তৃণমূলের দু’জন কর্মীর প্রাথমিক চিকিত্‌সা করাতে হয় কেশিয়াড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। তবে কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে বারিদা গ্রামের কিছু জমি দখল করেছিল সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা। পালাবদলের পরে এলাকায় এখন তৃণমূলের দাপট। এই অবস্থায় জমি নিয়ে সিপিএম-তৃণমূলের বিবাদ চলছিলই। লোকসভা নির্বাচনের পর বেশ কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থক দলবদল করে বিজেপিতে নাম লেখান। ফলে এখন জমি বিবাদ চলছে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক সেরে ফেরার পথেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বচসা বাধে। রাতে সমস্যা মিটে গেলেও বৃহস্পতিবার ফের দু’পক্ষের অশান্তি হয়।

এ দিন কেশিয়াড়ি ব্লকের সব কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের সমর্থনে সভা ও মিছিলের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। এই কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই তৃণমূল শিবিরে উত্‌সাহ ছিল। এ দিন ফের উত্‌সাহী তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে নতুন বিজেপি কর্মীদের। দু’পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়। জখম হন তৃণমূল সমর্থক প্রবীর দে ও লক্ষ্মীকান্ত দাস। বিজেপির বুথ সভাপতি নারায়ণ আচার্য, সমর্থক সর্বেশ্বর পাত্রেরও চোট লাগে। চারজনকেই কেশিয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন গোলমালের সময় বিজেপি কর্মী গৌরগোপাল দাস, নারায়ণ আচার্যের বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে বলেও অভিযোগ।

বিজেপির কেশিয়াড়ি মণ্ডল সভাপতি উত্তম মাইতি বলেন, “আমাদের দলে আসা কর্মীদের দখলে দীর্ঘদিন ধরেই কিছু জমি আছে। কেশিয়াড়ির পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অশোক রাউতের নেতৃত্বে তাঁদের উত্‌খাত করার চেষ্টা চলছে। তার জেরেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” হামলাকারীদের অবশ্য সিপিএমের লোক বলে দাবি করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অশোক রাউতের পাল্টা অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার কেশিয়াড়িতে আমাদের মিছিল বানচাল করতে সিপিএমের লোকেরাই হামলা করেছে। গ্রামবাসীরা তা প্রতিরোধ করেছে।” সিপিএমের জোনাল সম্পাদক ভবানী গিরি জানান, এতদিন যাঁরা দলীয় সমর্থক ছিলেন, তাঁদের দখলে থাকা জমির পাট্টার নথি রয়েছে। তৃণমূলের লোকেরা তা দখল করতে চায় বলে হামলা চালিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

land problem tmc-bjp kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE