Advertisement
E-Paper

ডাকাতির পাণ্ডা কোরিওগ্রাফার ধৃত

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাত ধরতে পড়শি রাজ্য ওড়িশায় গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার পুলিশ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ডাকাত দলের পান্ডা পেশায় কোরিওগ্রাফার। ইউটিউবে নাচের ভিডিও পর্যন্ত আপলোড করেছে সে। সন্তোষ দাস নামে ওই যুবক-সহ ডাকাত দলের চার জনকে গত শুক্রবার বালেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে এগরার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫১

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ডাকাত ধরতে পড়শি রাজ্য ওড়িশায় গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার পুলিশ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, ডাকাত দলের পান্ডা পেশায় কোরিওগ্রাফার। ইউটিউবে নাচের ভিডিও পর্যন্ত আপলোড করেছে সে।

সন্তোষ দাস নামে ওই যুবক-সহ ডাকাত দলের চার জনকে গত শুক্রবার বালেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে এগরার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ২৩ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা। ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি-সহ দু’টি নাইন এমএম পিস্তল, ছ’টি মোবাইল ও দু’টি মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

পুলিশের দাবি, সন্তোষ জেরায় জানিয়েছে, সে পেশায় কোরিওগ্রাফার। তবে কি কোরিওগ্রাফির আড়ালেই ডাকাতের দল চালাত এই যুবক? পুলিশ অবশ্য এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। এগরার এসডিপিও বলেন, “ধৃতদের জেরা করে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা চলছে।” রবিবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে আনা হলে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

গত সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বরে এগরার পানিপারুল এবং মোহনপুরের বৈতায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের শাখায় ডাকাতির হয়েছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর পানিপারুলে ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে খোয়া গিয়েছিল ২২ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৮০ টাকা। আর বৈতার লুঠ হয় ১০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৭৬ টাকা। দু’টি ব্যাঙ্কেই নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। ছিল না সিসিটিভি ক্যামেরাও। পানিপারুলে ডাকাতির পরে বিভিন্ন মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন ও কল-লিস্ট খতিয়ে পুলিশ দেখে, ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকাতির কয়েকদিন আগে থেকে ওড়িশার তিনটি মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন দেখাচ্ছে পানিপারুল। যদিও ১৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ফোনগুলি বন্ধ হয়ে যায়।

বৈতায় ডাকাতি হয় ১৭ ডিসেম্বর। এগরা থানার ওসি জানান, ডাকাতির কয়েক দিন আগে থেকে বৈতায় ফের ওড়িশার সেই মোবাইল নম্বরগুলির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতির পর থেকে মোবাইলগুলির টাওয়ার লোকেশন বদলে ওড়িশা হয়ে যায়। এর পরই এগরা থেকে পুলিশের দল বালেশ্বরে যায়। গত শুক্রবার সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় সন্তোষ দাস, শশীকান্ত মোহান্তি, শেখ আজাদ ও শেখ সফিউল্লা। সন্তোষ, শশীকান্ত বালেশ্বর জেলার উত্তরচক গ্রামের বাসিন্দা। আজাদের বাড়ি ফুলবার কসবায় ও সফিউল্লার বাড়ি বালেশ্বরে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে বালেশ্বরে ঘর ভাড়া নিয়েছিল ওই চার যুবক। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঘরের বাইরে তাঁদের বেশি দেখা যেত না। ডাকাতি নিয়েও কিছু টের পাননি তাঁরা। রবিবার কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) জাফর আজমল কিদওয়াই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, নিরাপত্তারক্ষী এবং সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার জন্যই গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে ডাকাতির জন্য বেছেছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের দাবি, জেরায় পানিপারুল ও বৈতার ব্যাঙ্ক ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে ধৃতেরা। আগে ওড়িশা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ছ’টি ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা জড়িত বলেও জানিয়েছে। ধৃত শশীকান্তের ভাই অঙ্কিত মোহান্তি আবার ডাকাতির অভিযোগেই জেল হেফাজতে রয়েছে। অঙ্কিতের থেকে তারা অস্ত্র নিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে শশীকান্ত।

choreographer santosh das bangiya gramin bikash bank robbery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy