অরণ্যশহরে রাতের বেলা ওষুধ দোকান খোলা রাখা হলেও প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মতো পুলিশি নিরাপত্তা মিলছে না। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে এমনই অভিযোগ করলেন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) ঝাড়গ্রাম শাখার সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গি।
ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানটি সারা রাত খোলা থাকে। কিন্তু সেখানে সব ধরনের জীবনদায়ী ওষুধ পাওয়া যায় না। এ জন্য এলাকাবাসীর দাবি-সনদের ভিত্তিতে শহরে বেসরকারি ওষুধ দোকানগুলি খোলা রাখার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। ১ নভেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়। শহরে মোট সত্তরটি ওষুধ দোকান রয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এর মধ্যে হাসপাতালের নিকটবর্তী পঁচিশটি দোকানকে পালা করে মাসে একদিন বা দু’দিন সারা রাত দোকান খোলা রাখার জন্য বিসিডিএ-এর তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি মতো নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। বিসিডিএ-এর ঝাড়গ্রাম শাখার নেতৃত্বের কাছে সম্প্রতি অভিযোগ করেন কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী।
এরপরই এ দিন মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান সংগঠনের ঝাড়গ্রাম শাখার সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গি। প্রসুনবাবু বলেন, “প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল রাতের বেলা যে দোকানটি খোলা থাকবে তার সামনে সারা রাত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া পুলিশের গাড়ি টহল দেবে। গত দশ দিন পালা করে একটি করে দোকান খোলা রাখা হচ্ছে, এক দিনও পুলিশি নিরাপত্তা মেলেনি। তবু আমরা জনস্বার্থে সারা রাত দোকান খোলা রাখছি।”
মহকুমাশাসক এস অরুণপ্রসাদ বলেন, “বিসিডিএ নেতারা এ দিন বিষয়টি জানিয়েছেন। রাতে খোলা ওষুধ দোকানের সামনে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে বলেছি।” ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, “কোন রাতে কোন ওষুধ দোকান খোলা থাকবে, সেই তালিকা আমাদের কাছে ছিল না। বিষয়টি জানার পরে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” বিসিডিও-এর ঝাড়গ্রাম শাখার সম্পাদক কাশীনাথ দত্ত বলেন, “কোন তারিখে কোন দোকান খোলা থাকবে, সেই তালিকা মহকুমাশাসকের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত দশ দিনে পালা করে যে দশটি দোকান সারা রাত খোলা ছিল তার কোনওটির সামনেই পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না বলে আমাদের কাছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। কয়েক বছর আগেও প্রশাসনের নির্দেশে আমরা রাতের বেলা দোকান খোলা রাখার বন্দোবস্ত করেছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে আমরা সেবার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হই। এবার প্রশাসন কী করে সেদিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy