ছাত্রভোটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জুলুমের প্রতিবাদে রাজ্যপালের পর, এ বার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে এবিভিপি। সোমবার দুপুরে হলদিয়ার মহিষাদলে সংগঠনের এক বৈঠকে এসে এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক সুবীর হালদার এ কথা জানান। তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের বহু কলেজে টিএমসিপি-র ভোট লুঠের বিষয়টি ইতিমধ্যে রাজ্যপাল তথা আচার্যকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এ বার কিছু কলেজে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব।”
সদ্য শেষ হওয়া দুই মেদিনীপুরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটে একটি আসনেও জিততে পারেনি এবিভিপি। দু’ই জেলার ৪৩টি কলেজের ৮টিতে মনোনয়ন জমা দেয় এই ছাত্র সংগঠন। কেন এমন ফল? এবিভিপি-র রাজ্য নেতার দাবি, রাজ্যের সব কলেজের প্রতিটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো সংগঠন তাঁদের আছে। কিন্তু, টিএমসিপি গণহারে ভোট লুঠ করায় তাঁদের হার হয়েছে। টিএমসিপি অবশ্য এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি দীপক দাসের প্রতিক্রিয়া, “জেলায় এবিভিপি-সহ বিরোধীদের কোনও সংগঠন নেই। ওদের নেতারা মিথ্যে অভিযোগ তুলে রাজনীতি করছেন।”
এ বারের ছাত্রভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৭টি কলেজের মধ্যে ৩টি কলেজে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছিল। জেলার ৫৭৯টি আসনের মধ্যে ২৯ আসনে মনোনয়ন জমা দেয় বিরোধীরা। বাকি আসনগুলিতে টিএমসিপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে। মহিষাদল রাজ কলেজের ৪৪টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে এবিভিপি ১০টি এবং এসএফআই ৯টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। তমলুক কলেজের ৪৮টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ৯টি আসনে ডিএসও প্রার্থী দেয়। আর কাঁথি কলেজের ৫৭টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে ডিএসও প্রার্থী দেয়। এই তিনটি কলজের যে ২৯টি আসনে নির্বাচন হয়েছে ভোট শেষে সেগুলিতেও টিএমসিপি জয়ী হয়। এমনকী, পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৬টি কলেজের কোনওটিতেই এবিভিপি জেতেনি।
রাজ্যনেতার সুরে এবিভিপি-র দুই মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষক অসীম মিশ্রেরও অভিযোগ, টিএমসিপি-তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাসের কারণেই সব জায়গায় প্রার্থী দেওয়া যায়নি। একই সঙ্গে তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে নেশামুক্ত কলেজ ক্যাম্পাস গড়তে কলেজে কলেজে আন্দোলনে নামবে এবিভিপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy