Advertisement
E-Paper

প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত কর্মীদের শো-কজ

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত থাকায় তিনশো সরকারি কর্মচারীকে শো-কজ কর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে এঁদের কাছে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিবিরে অনুপস্থিত থাকার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “প্রশিক্ষণ শিবিরে যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। লিখিত ভাবে অনুপস্থিতির কারণ জানাতে বলা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৩

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত থাকায় তিনশো সরকারি কর্মচারীকে শো-কজ কর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে এঁদের কাছে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিবিরে অনুপস্থিত থাকার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “প্রশিক্ষণ শিবিরে যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। লিখিত ভাবে অনুপস্থিতির কারণ জানাতে বলা হয়েছে। জবাব খতিয়ে দেখে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” জেলায় এ বার দু’দফায় ভোট। ৭ মে ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরে। আর ১২ মে ঘাটালে। গণনা ১৬ মে। ভোট হবে ইভিএমে। পশ্চিম মেদিনীপুরে সব মিলিয়ে ৫৩৩৭টি বুথ রয়েছে। বুথপিছু ৪ জন করে ভোটকর্মী থাকবেন। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ভোটকর্মী প্রয়োজন ২১৩৪৮ জন। সঙ্গে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটকর্মী থাকবেন। অর্থাৎ ৪২৭০ জন। সেই মতো ২৫৬১৮ জন ভোটকর্মীর কাছেই প্রশিক্ষণের চিঠি পাঠানো হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ভোটকর্মীদের সাধারণত দু’দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে একদফা প্রশিক্ষণ হয়েছে। গত ৫-৭ এপ্রিল, তিন দিন ধরে জেলার ৮টি কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ চলে। এর মধ্যে ঘাটালে একটি, ঝাড়গ্রামে ২টি, মেদিনীপুরে ৩টি এবং খড়্গপুরে ২টি কেন্দ্র ছিল। এ বার দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এপ্রিলের শেষের দিকে এবং মে-র প্রথম দিকে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ হবে। প্রায় ৩০০ জন কর্মচারী প্রশিক্ষণে না আসায় কোনও সমস্যা হবে না? জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, অনুপস্থিতির সংখ্যাটা যেহেতু প্রায় ৩০০, তাই তেমন সমস্যা হবে না। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটকর্মী রাখা হয়েছে। সেই হিসেবে অতিরিক্ত কর্মীর সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা হবে না। তবে, অনুপস্থিত কর্মীর সংখ্যা যদি আরও বেশি হত, সে ক্ষেত্রে সামান্য হলেও সমস্যা হত।” শোকজের চিঠি পেয়ে ইতিমধ্যে অবশ্য অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মচারীরা। কেউ শারীরিক অসুস্থতার কথা জানাচ্ছেন, কেউ আবার জরুরি কাজে বাইরে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলেন, “প্রশিক্ষণের চিঠি পেয়েছিলাম। তবে, এপ্রিলের গোড়ায় আমি জেলার বাইরে চলে যাই। তাই শিবিরে যেতে পারিনি। শো-কজের জবাব দিচ্ছি।” জানা গিয়েঠে, সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ভোটের ডিউটি এড়াতে চান। এ জন্য নানা অজুহাতও দেখান। জেলা প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, শো-কজের সব জবাবই খতিয়ে দেখা হবে। ইচ্ছে করে কেউ প্রশিক্ষণ এড়িয়ে গিয়েছেন বলে প্রমাণিত হলে তখন তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। যদি কেউ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শো-কজের জবাব না দেন? জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “তখন তো তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই হবে।”

lok sabha election training
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy