E-Paper

গত বছরের চেয়ে এ বার আলুর দাম দশ টাকা বেশি

যে আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা অনেকটা দামি। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন গত বছর এই সময়ে আলুর দাম ছিল প্রতি কিলো ২০-২২ টাকা সেটা এবার প্রায় ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৪ ০৮:৩১
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিনে আলুর কিলো প্রতি দাম গিয়েছে ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে। বর্তমানে আলু বিকোচ্ছে কোথাও ৩০ কোথাও ৩২ কোথাও ৩৫ টাকা প্রতি কিলো। জ্যোতি আলু ও চন্দ্রমুখী আলুর দামের ফারাক রয়েছে। জ্যোতি আলু ৩০ টাকা টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৩৫ টাকা প্রতি কিলো। সাধারণ ক্ষেত্রে নিত্য ব্যবহারে মানুষ জ্যোতি আলু কিনে থাকেন। কিন্তু চন্দ্রমুখীও জনপ্রিয়। আলু কারবারিরা জানাচ্ছেন, হোটেল, রেস্টুরেন্টে উপাদেয় সামগ্রী যেমন বিরিয়ানি ইত্যাদি রান্নায় ভাল চন্দ্রমুখী আলু ব্যবহার হয়, বাড়িতেও অনেকেই চন্দ্রমুখী আলু ব্যবহার করেন। তবে যে আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তা অনেকটা দামি। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানাচ্ছেন গত বছর এই সময়ে আলুর দাম ছিল প্রতি কিলো ২০-২২ টাকা সেটা এবার প্রায় ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কিন্তু এর কারণ কী? ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, এ বার উৎপাদন আগের বারের থেকে কম। চাহিদার সঙ্গে সামাল দিতে এই দাম বৃদ্ধি। সঙ্গে কোল্ড স্টোরের আলু এখনও স্টোর থেকে বার হয়নি। ফলে আলুর চাহিদা মতো জোগান নেই। তাই আলুর দামে এই বৃদ্ধি।

বেলডাঙা বাজার ঘুরে কী তথ্য উঠে এল?

বেলডাঙা মারুই লাগোয়া খুচরো বাজারে মঙ্গলবার আলু প্রতি কিলো বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে। ভাল আলু প্রতি আড়াই কিলো ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মোটের উপর ৩০-৩৫ টাকা প্রতি কিলো আলুর দাম। বেলডাঙা রেলবাজারের পাইকারি বাজারে জ্যোতি আলু প্রতি কিলো ২৮ টাকা ও চন্দ্রমুখী আলু ৩২ টাকা প্রতি কিলোর দাম।

জেলার বাজারে মুলত আলু আসে কান্দি মহকুমার বড়ঞা থেকে। জেলার আলু উৎপাদনের অর্ধেক আলু এখানে উৎপাদিত হয়। এ ছাড়া ভরতপুরে আলু হয়। সঙ্গে বর্ধমানের কালনা, বাঁকুড়ার জয়রামবাটী, হুগলির কামারপুকুর, এছাড়া উত্তরবঙ্গের ধুপগুড়ি থেকে আলু আসে। আলু কারবারি আসীম সাহা বলেন, ‘‘আলু গত বারের তুলনায় কম উৎপাদন হয়েছে। যে আলু বর্তমানে কোন্ড স্টোরে রয়েছে, সেগুলি জুন মাসে বাজারে আসবে। তখন দাম কমতে পারে। তার আগে নয়।” কান্দি মহকুমা এলাকার কারবারিরা জানাচ্ছেন, শুধু বড়ঞাতেই ৬ টা বড় কোল্ড স্টোর রয়েছে। সেখানে আলু মজুত রয়েছে। জুন থেকে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আস্তে আস্তে আলু বাজারে আসবে। তারপর আলুর দামের হেরফের হতে পারে। তার আগে নয়।

বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক শঙ্কর চৌধুরী বলেন, “বাজারে আলুর দাম বেশি। যেটা মনে হচ্ছে, উৎপাদন কিছুটা কম। তার সঙ্গে আলু এখন কোল্ড স্টোরে। ফলে চাহিদা ও জোগানে ফারাক রয়েছে। তার জেরে আলুর দাম বৃদ্ধি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Potato

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy