Advertisement
E-Paper

ব্যস্ত সময়ে বিকল রেলগেটে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা, দুর্ভোগ

বিকল রেলগেট। দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক রেলগেট বন্ধ থাকায় যানজটের ফাঁসে নাভিশ্বাস নিত্যযাত্রীদের। বৃহস্পতিবার সকালে গাড়ির ধাক্কায় বিকল হয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গিরিময়দান থেকে গোকুলপুরের মাঝে খরিদা রেলগেট। তারপর প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধই ছিল ব্যস্ত খড়িদা-মালঞ্চ সড়কের ওই রেলগেট। ফলে উড়ালপুলের দাবিতে ক্ষোভ উগড়ে দেন অপেক্ষারত যাত্রীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:৩৯
ঝুঁকির পারাপার। —নিজস্ব চিত্র।

ঝুঁকির পারাপার। —নিজস্ব চিত্র।

বিকল রেলগেট। দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক রেলগেট বন্ধ থাকায় যানজটের ফাঁসে নাভিশ্বাস নিত্যযাত্রীদের। বৃহস্পতিবার সকালে গাড়ির ধাক্কায় বিকল হয়ে পড়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গিরিময়দান থেকে গোকুলপুরের মাঝে খরিদা রেলগেট। তারপর প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধই ছিল ব্যস্ত খড়িদা-মালঞ্চ সড়কের ওই রেলগেট। ফলে উড়ালপুলের দাবিতে ক্ষোভ উগড়ে দেন অপেক্ষারত যাত্রীরা।

রেলশহরের জনবহুল এলাকা খরিদা, গিরিময়দান ও গ্রামীণের দিঘাগামী সড়কের বেনাপুর রেলগেটে এখনও উড়ালপুল না থাকায় যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। গত বছর ২০ ডিসেম্বর খড়্গপুর ও মেদিনীপুর স্টেশনের মাঝে গিরিময়দান থেকে গোকুলপুরের মধ্যে ডবল লাইন চালু হয়েছে। ফলে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ায় দীর্ঘক্ষণ রেলগেট বন্ধ থাকে। সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।

একটি রেললাইন থাকার সময়েই খরিদায় উড়ালপুল গড়ার দাবি উঠেছিল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় প্রকল্প বাবদ প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। কথা ছিল, চুড়ান্ত পর্যায়ের নকশা তৈরি হওয়ার পরে ফের প্রকল্পের মোট খরচ ধরে রেল ও রাজ্য উভয়েই সমান ভাগে অর্থ দেবে। সেই অনুযায়ী রেলের পক্ষ থেকে উড়ালপুলের নকশা তৈরি করা হয়। কিন্তু তার পরে আর কাজ এগোয়নি। সম্প্রতি এই রেলপথে ডবল লাইন চালু হওয়ায় ফের উড়ালপুলের দাবি জোরালো হচ্ছে। এ দিন যানজট বাড়তে থাকায় বড় গাড়িগুলিকে গেটবাজার দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরে নতুন একটি রেলগেট এনে মেরামতির কাজ করা হয়। দেড় ঘণ্টা বাদে মেরামতির কাজ শেষ হলে খুলে দেওয়া হয় রেলগেট। ফের কিছুক্ষণ পরেই ট্রেন আসার সময় হয়ে যাওয়ায় রেলগেট বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন বন্ধ রেলগেট দিয়েই বাজার করতে আসা ভারতী বিদ্যাপীঠ এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী এ কে ঘটক বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই এই যন্ত্রণা ভোগ করছি। এখন ডবল লাইন হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। উড়ালপুল হবে হবে শুনছিলাম। কিন্তু কোথায় কী? এখন এক ঘণ্টা রেলেগেটে দাঁড়িয়ে থাকলে বাজার যাব কখন? বাধ্য হয়ে বন্ধ রেলগেট পেরিয়েই যেতে হল।”

রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রেলের তৈরি উড়ালপুলের নকশা বোর্ডে অনুমোদিত হয়েছে। এবিষয়ে রাজ্য ও রেল যৌথভাবে বৈঠকও করেছে। এর পর রাজ্য ও রেল উভয়েই নকশা চূড়ান্ত করে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প ব্যয় ধরলে কাজ শুরু হবে।” খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডবল লাইন হওয়ার পরে খরিদায় উড়ালপুলের বিষয়টি রেলের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জুলাই মাসে রাজ্য সরকার ও রেলের যৌথ বৈঠক হয়েছে। উড়ালপুলের চূড়ান্ত নকশা তৈরির জন্য প্রক্রিয়াও চলছে।”

level crossing harassment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy