Advertisement
০৫ মে ২০২৪

মাধ্যমিক-মাদ্রাসার কৃতীদের সংবর্ধনা

মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিকের ১০ জন ও মাদ্রাসা বোর্ডের ১০ জন কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি হয় জেলা পরিষদের সভাকক্ষে।

মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সামনে কৃতীরা। —নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সামনে কৃতীরা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৪ ০০:৪৫
Share: Save:

মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাধ্যমিকের ১০ জন ও মাদ্রাসা বোর্ডের ১০ জন কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি হয় জেলা পরিষদের সভাকক্ষে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের বক্তৃতা শেষে বক্তব্য রাখতে ওঠেন মহিষাগেড়া মাদ্রাসার ছাত্রী শাহিনা সুলতানা। শাহিনার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮১। অভিযোগের সুরে শাহিনা বলেন, “মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পাশ করায় আমাদের তেমন ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমি উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির জন্য সাধারণ স্কুলে আবেদনপত্র তুলতে গিয়েছিলাম। একটি স্কুল আবেদনপত্র দিলেও মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্রী হওয়ায় আমাকে ভর্তি নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন।” শাহিনাও ছাড়ার পাত্রী ছিলেন না। প্রশাসনের প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ (বালিকা) এ ভর্তির সুযোগ পান।

শাহিনার বক্তব্যে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কর্তারা। যদিও তাঁর বক্তব্য শেষেই শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শ্যাম পাত্র বলেন, “সকলকেই সম-মর্যাদা দিতে হবে। যদি এক্ষেত্রে কারও কোনও সমস্যা হয়, তাঁরা যেন জেলা পরিষদ বা প্রশাসনকে জানান।” জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহও সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের কাছে সমস্ত ছাত্রছাত্রীই সমান। এমনকি যাঁরা প্রথমের সারিতে জায়গা পাননি, তাঁরাও কম নয়। সকলকে উৎসাহিত করতেই আমাদের এই অনুষ্ঠান।”

অনুষ্ঠানে পর্ষদের জেলার অন্যতম কৃতী রিমি ঘোষকে যেমন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তেমনি মাদ্রাসার অন্যতম কৃতী আনিসুর রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রিমি, শ্রীজিতা বিদদের মতোই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তোজাম্মেল আলি, জাহাঙ্গির খানেরাও। সকলকে ইংরেজি অভিধান, কলম, পুষ্প স্তবকের পাশাপাশি ২ হাজার করে টাকাও দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্মল ঘোষ, অমূল্য মাইতি, অজিত মাইতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সংঘমিত্র মাকুড় উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা সকলেই বলেন, মাধ্যমিকের থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাঠক্রমের ফারাক অনেকটাই। মাধ্যমিকের এই সাফল্যে কেউ যেন আত্মসন্তুষ্টিতে না ভোগে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের পরেও তাঁদের যেন এভাবেই জেলা পরিষদ সংবর্ধনা জানাতে পারে। মাধ্যমিকে কৃতীদের তাই আরও মনোযোগী হয়ে পঠনপাঠনের পরামর্শ দেন সকলেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

felicitation madhyamik result madrasha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE