চণ্ডীপুরে বাইশে শ্রাবণের অনুষ্ঠানে গান গাইছেন জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল। রয়েছেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথির আসনে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল আর সামনের চেয়ারে সার দিয়ে বসে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ এলাকার কয়েক’শো বাসিন্দা। শ্রাবণের বর্ষণমুখর পরিবেশে রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসে আয়োজিত এমনই এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির নির্দিষ্ট আসন ছেড়ে নিজেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল। আবৃত্তি করলেন শুভেন্দুও।
রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরষ্কারের শতবর্ষ উপলক্ষে চণ্ডীপুরের কালিকাখালি গ্রামে এমনই দৃশ্য দেখা গেল শুক্রবার। এ দিন সকালে চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন কালিকাখালি কালীপদ স্মৃতি ময়দান প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাবয়ব প্রস্তর মূর্তির উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সাংসদ-সভাধিপতি ছাড়াও ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক প্রবালকান্তি হাজরা, তমলুক ফ্লাওয়ার লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ রায় প্রমুখ। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন চণ্ডীপুরের প্রবীন শিল্পী প্রশান্ত মাইতি।
এরপরেই সবাইকে অবাক করে মধুরিমাদেবী শোনান ‘তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূর আমি ধাই ...’ এই রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেন অনুষ্ঠানের ঘোষক প্রদীপ জানা। গান শেষ হতেই তুমুল করতালিতে মুখরিত হয় সভা।
শুভেন্দু বলেন, “আমাদের প্রতিদিনের জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব রয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের কর্তব্য।” বক্তৃতা শেষে শুভেন্দুবাবু রবীন্দ্রনাথের ‘প্রার্থনা’ কবিতা আবৃত্তি করেন। সভাধিপতির দায়িত্ব সামলানোর পরে গানের চর্চার সুযোগ থাকে? পূর্ব মেদিনীপুরের প্রথম মহিলা সভাপধিপতি বলেন, “আগে নিয়মিত রবীন্দ্রসঙ্গীতের চর্চা করতাম। এখনও সুযোগ পেলেই মাঝেমাধ্যে বসে পড়ি।” এ দিন সকালে তমলুক শহরে জেলা গ্রন্থাগারের সামনে রবীন্দ্রমূর্তির পাদদেশে বনমহোৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তমলুক ফ্লাওয়ার লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান, রবীন্দ্ররচনাবলী পাঠ, বৃক্ষরোপণ ও চারাগাছ বিতরণ হয়। অন্য দিকে, কবির প্রয়াণ দিবসে হলদিয়ায় মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে সমিতির উদ্যোগে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলি। সকালে সংস্থারই গৃহে প্রভাতী অনুষ্ঠান করে শিল্পকৃতি-সহ বিভিন্ন সংস্থা। কলামন্দির, শিল্পমনন, শিল্পকৃতি, শ্রুতিশৈলি-সহ বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy