Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

যাদবপুরের সমব্যথী, দুই শহরেই পথে ছাত্ররা

যাদবপুর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ডাকা ছাত্র ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়ল না পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, গায়ের জোরে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পুলিশ শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তাঁবেদারি করেছে। ধর্মঘটের সমর্থনে সকাল থেকেই পথে নামে এসএফআই, ডিএসও। চলে মিছিল, পিকেটিং, সভা।

মেদিনীপুর কলেজ মোড়ে ডিএসওর প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র

মেদিনীপুর কলেজ মোড়ে ডিএসওর প্রতিবাদ মিছিল। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৩০
Share: Save:

যাদবপুর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ডাকা ছাত্র ধর্মঘটের তেমন প্রভাব পড়ল না পশ্চিম মেদিনীপুরের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, গায়ের জোরে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। পুলিশ শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের তাঁবেদারি করেছে। ধর্মঘটের সমর্থনে সকাল থেকেই পথে নামে এসএফআই, ডিএসও। চলে মিছিল, পিকেটিং, সভা। কারা মিছিল-পিকেটিং করছেন, কিছু এলাকায় পুলিশ কর্মীরা তার ছবি তুলে রাখেন।

এ দিন সন্ধ্যায় প্ল্যাকার্ড নিয়ে মোমবাতি হাতে পথে নামে আইআইটি-র কিছু পড়ুয়া। সন্ধ্যায় খড়্গপুর আইআইটি-র মূল প্রশাসনিক ভবনের বাইরে থেকে ডিরেক্টরের বাংলো হয়ে মিছিল পৌঁছায় টাটা স্টিল ময়দানের কাছে। যাদবপুর-কাণ্ডের পরেই মিছিলের সিদ্ধান্ত নেয় যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা আইআইটি-র পড়ুয়ারা। ফেসবুকে একটি ‘পেজ’ বানিয়ে প্রচারও চালাচ্ছিলেন। দুপুরে মৌনী মিছিলের জন্য ছাত্র কল্যাণ বিভাগের ডিনের কাছে অনুমতি চেয়েও না মেলায় ওই ‘পেজ’ মুছে দেন তাঁরা। পরে মিছিলের সিদ্ধান্ত হয়। মিছিলে প্রাক্তনী তথা আইআইটির গবেষক পড়ুয়া অভিমন্যু কর, সুদীপা মণ্ডলরা যাদবপুরের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলেন।

মিছিলে পা মেলান যাদবপুরের প্রাক্তনীরা ছাড়া অন্যরাও। আইআইটির গবেষক-পড়ুয়া শীতাংশু চক্রবর্তী, মঞ্জিরা সিংহের কথায়, “এই বর্বরতার প্রতিবাদ না হলে আইআইটি বা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তাই পথে নেমেছি।” কেন মিছিলের অনুমতি দিলেন না? প্রসঙ্গ এড়িয়ে ডিনের যুক্তি, “মিছিল শান্তিপূর্ণ না অশান্তিপূর্ণ হবে কে বলতে পারে? তা ছাড়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাবর ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক ভাল।”

ছাত্র ধর্মঘট প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডার দাবি, টিএমসিপির কর্মীরা গায়ের জোরে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করেছে। ডিএসওর জেলা সভাপতি দীপক পাত্র বলেন, “এ জেলার ছাত্র সমাজও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে।” যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদ জানান ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুলও।

এ দিন মেদিনীপুর কমার্স কলেজে ছাত্র সংঘর্ষে ছাত্র পরিষদের এক সদস্য প্রহৃত হন। অভিযুক্ত টিএমসিপি। বেলদা কলেজে ডিএসও কর্মীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে টিএমসিপি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের কলেজ মোড় থেকে এসএফআইয়ের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। এ দিন শহরে ডিএসও-ও মিছিল করে। শহরের কেরানীতলায় পথ অবরোধ করে ছাত্র পরিষদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE